আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে, যা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কাছে স্বাস্থ্যকর মনে হয়। দীর্ঘদিন খাওয়ার পর একপর্যায়ে শারীরিক জটিলতাও দেখা দেয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক সময় লেগে যায়। তবে সেসব খাবার সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন সহজ হয়।
স্বাস্থ্যকর মনে হওয়া খাবারগুলোর মধ্যে প্যাকেটজাত ও প্রসেসড ফুড অন্যতম। এসব খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। যা দীর্ঘমেয়াদে খাওয়া হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব খাবার নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে জেনে নেয়া যাক।
সোডা বা ডায়েট কোক:
অনেকেই মনে করেন ডায়েট কোক বা সোডা ক্যালোরি-ফ্রি হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু এতে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বা কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার হওয়ায় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফলে ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি ও হরমোনের অসামঞ্জস্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে নিয়মিত ডায়েট কোক পান করার অভ্যাস থাকলে সচেতন হতে হবে।
বাদামি রুটি:
মাল্টিগ্রেইন বা বাদামি রুটিকে আমরা সাদা পাউরুটির থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করি। কিন্তু আমাদের প্রচলিত এই ধারণা এখন ক্ষেত্রবিশেষ ভুল। বাজারে যেসব বাদামি রুটি পাওয়া যায়, তার অধিকাংশেই ময়দা ব্যবহার করা হয়। এ কারণে প্রকৃত পুষ্টিগুণ থাকে না। এতে আরও ফাইবার কম থাকে ও ব্লাড সুগার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভেজিটেবল চিপস:
চিপস পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কম আছে। ছোটবেলায় প্রায় সবাই খেয়েছেন চিপস। তবে প্রাপ্তবয়স্করা যথেষ্ট এড়িয়ে চলেন এটি। কারণ, চিপসের নাম শোনা মাত্রই চোখে অস্বাস্থ্যকর খাবারের ছবি ভেসে উঠে। বাজারে সচরাচর পাওয়া ভেজিটেবল চিপসকে স্বাস্থ্যকর বলা হলেও এতে প্রচুর তেল, লবণ ও প্রিজারভেটিভ থাকে। যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন বৃদ্ধির কারণ।
প্যাকেটজাত জুস:
অনেকেই বাইরে বের হলে প্যাকেটজাত বা বোতলের জুসকে সঙ্গী করে নেন। তাদের মতে এসব জুস স্বাস্থ্যকর। প্রকৃত অর্থে এসব জুস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে অতিরিক্ত চিনি, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার থাকার অভিযোগ উঠে মাঝে মধ্যেই। ফলে ডায়াবেটিস ও স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এর থেকে গোটা ফল বা তাজা ফল দিয়ে বাসায় রস তৈরি করে খাওয়া স্বাস্থ্যকর।