spot_img

চীনের এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৌপরিবহন উপদেষ্টার বৈঠক

অবশ্যই পরুন

চীনের এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) বেইজিংয়ে এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এগুলো হলো— “এক্সপানশন অ্যান্ড মডার্নাইজেশন অব মোংলা পোর্ট” এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের “দুটি ক্রুড অয়েল ট্যাংকার ও দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহ” প্রকল্প।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বৈঠকে বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রকল্পটি অত্যন্ত জরুরি। প্রকল্পটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন পেলেও জিটুজি ও জিওবি’র অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য লোন এগ্রিমেন্ট জরুরি ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে জিওবি অংশে অর্থায়ন নিশ্চিত কিন্তু চীনা অংশে লোন এগ্রিমেন্ট না হওয়ায় প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দরের কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বর্তমানে কোনো টার্মিনাল জেটি নেই। প্রকল্পের আওতায় দুটি টার্মিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে, যা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দুটি ক্রুড অয়েল ট্যাংকার ও দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহ প্রকল্পটিও গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে আরও দুটি জাহাজ ক্রয়ের কার্যক্রম চলছে এবং শিগগিরই আরও তিনটি জাহাজ ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।”

এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসসি’র জাহাজ ক্রয়ের লোন এগ্রিমেন্ট এ বছরের মধ্যেই হতে পারে। আর মোংলা বন্দরের প্রকল্পের বিষয়ে আগামী বছরের শুরুতে চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ ছাড়া মোংলা বন্দরের প্রকল্পের লোন এগ্রিমেন্ট বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় যে, চলতি বছরের মধ্যেই সিডকার (CIDCA) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। সরকার যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বন্দর অবকাঠামো ও শিপিং খাতে আরও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

বৈঠকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমানসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১

এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ