যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘যুদ্ধ নায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মঙ্গলবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘সে ভালো মানুষ। লড়াই করছে…সে একজন যুদ্ধ নায়ক, কারণ আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি মনে করি আমিও একজন যুদ্ধ নায়ক।’
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। তবে তিনি আইসিসির পরোয়ানার কথা বলেছেন নাকি নেতানিয়াহুর দেশীয় দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গ টেনেছেন—তা স্পষ্ট নয়।
নেতানিয়াহু ২০২০ সাল থেকে দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালে এ ধরনের বিচারের মুখোমুখি হননি। গত নভেম্বরে আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগেও মামলা চলছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ভয়াবহ হামলায় অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, অতীতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করেছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমিই তাদের সবাইকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। আমি এতগুলো চিঠি পেয়েছি বাবা-মা ও বাচ্চাদের কাছ থেকে…যারা ফিরে এসেছে, তারা সবাই বলেছে—আমি না থাকলে কেউ ফিরত না।’
তিনি আরও বলেন, গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার নির্দেশও তিনিই দিয়েছিলেন। ‘আমিই বিমান পাঠিয়েছিলাম…সবকিছু এত নিখুঁতভাবে হয়েছিল যে সেটি ছিল সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করে বলেন, সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার নাকি ফিলিস্তিনপন্থী। তিনি বলেন, ‘আসলে শুমার এখন একজন ফিলিস্তিনি। আমরা তাকে নিউইয়র্ক থেকে ফিলিস্তিনি সিনেটর বলি।’
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি