spot_img

৮৪ বছর বয়সেও ফিট থাকার রহস্য জানালেন দিলারা জামান

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দিলারা জামান বয়সের সঙ্গে লড়াই করে এখনও প্রাণোচ্ছল ও কর্মঠ জীবনযাপন করছেন। ৮৪ বছর বয়সেও তিনি নিজেকে কীভাবে ফিট রাখেন অনেকের মনেই রয়েছে এমন প্রশ্ন? তবে তেমন কিছু না, নিয়মিত জীবনযাপন অনুসরণ করেই নাকি রয়েছেন এমন ফিট। একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটাই জানান।

ভোরে উঠে নামাজ পড়া, পত্রিকা পড়া, নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া—এসবই তার প্রতিদিনের অভ্যাস। ডায়াবেটিস থাকায় লাল আটার রুটি ও সবজি তার নিত্যসঙ্গী। দুপুরে খান সামান্য ভাত, সবজি আর মাছ। ভালোবাসেন ছোট মাছ। রান্না নিজেই করেন তিনি।

দুপুরে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে কখনো নাটকের স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করেন, আবার টেলিভিশন দেখেন। বাসার সামনেই বড় পার্কে প্রতিদিন বিকেল চারটায় হাঁটতে বের হন। হাঁটার সঙ্গীদের সঙ্গে এখন তার গভীর বন্ধুত্ব। শুটিং না থাকলে এ রুটিন খুব একটা ভাঙেন না।

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলারা জামান বলেন, খালি বাড়িতে একাকিত্ব কাটাতে সবসময় টিভি ছেড়ে রাখেন। এতে মনে হয়, আশেপাশে অনেক লোকজন আছেন। দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকলেও দেশের মায়া ও মানুষের ভালোবাসার টানে বিদেশে স্থায়ী হতে চান না তিনি।

তিনি বলেন, জাপানিদের জীবনযাত্রা তাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। ছোট মেয়ে মনবুশো বৃত্তি নিয়ে জাপানে পড়াশোনা করতে গেলে সেখানেই কিছুদিন ছিলেন তিনি। দেখেছেন, ৮০-৯০ বছরের প্রবীণরাও এখনো নিজের কাজ নিজেরা করেন, দোকানে ঘণ্টাখানেক কাজ করেন, গাছের যত্ন নেন, বাজার করেন। বয়স যেন তাদের কাছে কোনো বাধা নয়। সেই জীবনদর্শন তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

প্রতিদিন হাঁটার সময় বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, হাসি-ঠাট্টা, মাঝেমধ্যে ফুচকা-ঝালমুড়ি খাওয়া—সবকিছুই উপভোগ করেন তিনি। রাত নয়টার মধ্যে রাতের খাবার সারেন। তখন রুটি, সবজি আর মুরগির মাংস থাকে তার প্লেটে। এরপর খানিকটা টক শো দেখে ঘুমাতে যান।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকা না পড়ে যেমন দিন শুরু করতে পারি না, তেমনি টক শো দেখে আগামী দিনের খবর জেনে তবেই ঘুমাতে যাই। বলতে পারো, আমি খবরপাগল মানুষ।’

১৯৬৫ সালে অভিনয় শুরু করেন দিলারা জামান। ছয় দশকের অভিনয়জীবনে বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। প্রযুক্তিগত নানা পরিবর্তনও প্রত্যক্ষ করেছেন অভিনয়ের ক্ষেত্রটিতে। তবে কোনো কিছু নিয়েই অভিযোগ করেন না; বরং সব পরিবর্তনকেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন।

বিদেশে থাকা মেয়েরা তাকে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজি হননি। দেশের মানুষজনের ভালোবাসাকেই তিনি সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করেন। তার ভাষায়, ‘এই যে রাস্তায় বের হলে মানুষ এত মায়া করে, ভালোবাসে, ছবি তুলতে চায়—এর চেয়ে সুন্দর মুহূর্ত জীবনে আর কী হতে পারে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে চান পুতিন: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সত্যিই ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে আগ্রহী। সোমবার (১৮...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ