ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে হারের সম্মুখীন হলেন নেইমার জুনিয়র। ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হারলো সান্তোস। এমন হারে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পরেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে জানালেন, তিনি লজ্জিত। এদিকে ম্যাচ হারের কারণে সান্তোস কোচ ক্লেবার হাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ফুটবল জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন নেইমার জুনিয়র। অসাধারণ গোল, ঝলমলে কীর্তি আর দারুণ সব শিরোপা জয়ের স্মৃতি তাকে গরে তুলেছিলো আধুনিক ফুটবলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু যেখানে থাকে আলো সেখানেই যেন বাসা বাঁধে অন্ধকার কালো।
নেইমারের স্মৃতির পাতায় কতই না সুখের গল্প। তবে এবার এমন ভাবে হারের মুখে পড়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, যেটি থেকে বের হওয়াটা খুব একটা সহজ হবে না তার জন্য। নেইমার ও তাঁর দল সান্তোস মুখোমুখি হয়েছে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার। অবিশ্বাস্যভাবে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছে তারা। যা কিনা নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হার।
নেইমার জুনিয়র বলেন, আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্সে আমি সম্পূর্ণ হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদের পুরোপুরি অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা পরিহার করে। তারা যদি গালি দেয় বা অপমান করে, সেটারও অধিকার তাদের আছে।
ব্রাজিলিয়ান সিরি আর এই ম্যাচে কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি সান্তোস। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য ১ গোল হজম করে তারা। বিরতির পর আরও ৫ গোলের ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে নেইমাররা। এমন জয়ে রেলিগেশন থেকে বেরিয়ে এসেছে ভাস্কো দা গামা।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নেইমার বলেন, এটা চরম লজ্জার অনুভূতি। জীবনে কখনও এমনটা হয়নি। দুর্ভাগ্যবশত এবার হলো। কান্না এসেছিলো রাগ থেকে, যা ঘটেছে সব কিছুর জন্য। দুর্ভাগ্যবশত আমি সবদিক দিয়ে সাহায্য করতে পারি না। যা ই হোক, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একেবারে বাজে, এটাই বাস্তবতা।
উল্লেখ্য, ৬-০ গোলের হার শুধু একটি পরাজয় নয়, নেইমারের হৃদয়ে এক অবর্ণনীয় যন্ত্রণার নাম। তাই তো নিজেকে কোনভাবেই সামলাতে পারেননি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে কান্নায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। যে কান্না ছিল গর্ব ভেঙ্গে যাওয়ার কান্না, স্বপ্নগুলো মুহূর্তেই ধ্বসে পড়ার প্রতিধ্বনি।