যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে করবেন। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ইউরোপীয় নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের ইউরোপীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরে সাক্ষাৎ করেন, যা ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বাড়ার পর থেকে রুশ ও মার্কিন নেতাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বৈঠককে উষ্ণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং পুতিন একে বলেছেন খোলামেলা ও গভীরতাপূর্ণ আলোচনা।
দু’পক্ষই এই শীর্ষ বৈঠক ইউক্রেন সংকট সমাধানের দিকে একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে গ্রহণ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতারাও আমন্ত্রিত হয়েছেন।
এর আগের দিনেই জেলেনস্কি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানান, তিনি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে যাবেন। পরে ট্রাম্পও তার সফর নিশ্চিত করেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প এক পরিকল্পনা প্রস্তাব করবেন যেখানে ইউক্রেনকে ডনবাস অঞ্চলের রাশিয়ার দখলে নেওয়া নতুন ভূখণ্ডের যে অংশ এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে, তা ছেড়ে দিতে হবে।
এর পরিবর্তে ক্রেমলিন বর্তমান যুদ্ধরেখা বরাবর সংঘর্ষ বন্ধে সম্মত হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে জেলেনস্কি একাধিকবার মস্কোর প্রতি কোনো ধরনের ভূখণ্ড ছাড়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
আলাসকা বৈঠকের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপীয় সহায়তায় একটি ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ আগেই জানিয়েছেন, পুতিন, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এখনো আলোচনা শুরু হয়নি।
বৃহস্পতিবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট মন্তব্য করেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে কথা বলার বদলে কার্যকর কিছু করতে হবে এবং যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে, তখন তারা যেন ওয়াশিংটনের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দেয়।
সূত্র: আরটি