ঘুম মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ নেয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। এর মধ্যদিয়ে দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ’ (সুরা নাবা, আয়াত: ৯-১০)।
এ ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ছোট্ট দোয়াও রয়েছে, যা প্রায় সবারই জানা। খোদ রাসুল (সা.)-ও এটি পাঠ করতেন। হাদিসে এসেছে, হুযায়ফা ইবন ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (সা.) যখন শোয়ার ইচ্ছা করতেন তখন তিনি একটি দোয়া পাঠ করতেন। দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া-আহ্ইয়াইয়া। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার নামে আমি শয়ন করছি এবং আপনারই অনুগ্রহে আবারও জাগ্রত হবো। (সুনান আত তিরমিজি: হাদিস: ৩৪১৭; সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৮৮৫)
তবে ঘুমানোর ক্ষেত্রে অনেকেরই উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এভাবে ঘুমালে সাময়িক আরাম মিললেও এর কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে ইসলামে উপুড় হয়ে ঘুমানোয় কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। খোদ নবীজি (সা.) এভাবে ঘুমাতে বা শোয়া নিষেধ করেছেন।
আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন। ওই সময় তিনি আমাকে তাঁর পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন- হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামির শয়ন। (সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৭২৪, সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৪০)
পবিত্র কুরআনেও উপুড় করে জাহান্নামের বাসিন্দাদের জাহান্নামে নেয়ার কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন তাদের উপুড় করে টেনে-হিঁচড়ে জাহান্নামে নেয়া হবে। (বলা হবে) জাহান্নামের ছোঁয়া আস্বাদন কর। (সুরা আল কামার, আয়াত: ৪৮)