তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয়। ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান সাত বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয়। পাকিস্তানের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং হাসান নওয়াজ।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুরুর দিকে ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিংকে প্রথম ওভারেই আউট করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, তিনি ৫ বলে ৪ রান করেন। এরপর এভিন লুইস এবং কেসি কার্টি ৭৭ রানের একটি জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের প্রাথমিক চাপ সামাল দেন। তবে কার্টিকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন সুফিয়ান মুকিম। কার্টি করেন ৩৯ বলে ৩০ রান।
লুইস ৬২ বলে ৬০ রান করে সাইম আইয়ুবের বলে ক্যাচ আউট হন। তার ইনিংসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা ছিল। এরপর ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপও অর্ধশতক হাঁকান, ৭৭ বলে ৫৫ রান করে তিনি রস্টন চেইজের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে আউট হন। চেইজও ৫৪ বলে ৫৩ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কা। লোয়ার অর্ডারে গুডাকেশ মোটি ১৮ বলে ৩১ রান করে, তার ব্যাট থেকে আসে দুইটি ছক্কা ও তিনটি চার আসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ ওভারেই ২৮০ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায়।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি চারটি উইকেট নেন, নাসিম শাহ তিনটি উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট পান সাইম, সুফিয়ান ও সালমান।
পাকিস্তান রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে কিছুটা বিপদে পড়ে। ওপেনার সাইম আইয়ুব ১২ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর আবদুল্লাহ শফিক এবং বাবর আজমের মধ্যে ৪৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ওঠে। শফিক ৩৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন। এরপর বাবর আজম পাঁচটি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান।
বাবরের বিদায়ের পর রিজওয়ান ও সালমানের মধ্যে ৪০ রানের জুটি গড়ে ওঠে। সালমান আঘা ২৬ বলে ২৩ রান করে আউট হলে পাকিস্তান আবারও কিছুটা চাপে পড়ে। তবে অধিনায়ক রিজওয়ান অভিষিক্ত হাসান নওয়াজের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়লে পাকিস্তান ম্যাচে ফিরে আসে। রিজওয়ান ৬৯ বলে ৫৩ রান করেন এবং চারটি বাউন্ডারি হাঁকান।
পাকিস্তানের জন্য ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখান হাসান নওয়াজ এবং হুসাইন তালাত। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুই তরুণ ব্যাটার ৭০ বলে ১০৪ রান করে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন। অভিষিক্ত হাসান নওয়াজ ৫৪ বলে ৬৩ রান করেন এবং ছয় বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা তালাত ৩৭ বলে ৪১ রান করেন। এই দুই ব্যাটারের অপরাজিত জুটির ওপর ভর করে সাত বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।