রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ শিক্ষার্থী, দুইজন শিক্ষক, তিনজন অভিভাবক এবং একজন আয়া। এটা স্কুল কর্তৃপক্ষের সবশেষ হিসাব।’
তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই। কোনো শিক্ষার্থী নিখোঁজ নেই। যাদের মরদেহ তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করা যায়নি, তাদের ডিএনএ টেস্ট করে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।’
বিমান বিধ্বস্তে শোকাতুর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরার ক্যাম্পাস অবশেষে আজ রোববার (৩ আগস্ট) খুলেছে। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে পাঠে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যক্ষ জিয়াউল আলম।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির বিষয়ে সহায়তা দিতে শিক্ষকদের নেতৃত্বে কাউন্সিল গঠনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি কেউ মানসিক অবসাদ বা অসুস্থতায় ভোগে, তবে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়ার কথা জানান তিনি।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতঙ্ক, ভয় কাটানোর জন্য কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। অভিভাবকদের অনুরোধে ক্যাম্পাস উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সবাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে চাচ্ছেন।’
গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী হতাহত হয়েছেন। এখনো অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।