আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল কিছুদিন আগেই স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে। যদিও এই লোন ট্রান্সফার ঘিরে আর্জেন্টিনার ক্রীড়াঙ্গনে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মায়ামির জার্সিতে অভিষেক হলো ডি পলের। একই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরেন লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা, আর মাঠে ফিরেই নিজেদের চেনান তারা—মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে জয় তুলে নেয় ফ্লোরিডাভিত্তিক ক্লাবটি।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে আজ ভোরে ক্লাব অ্যাটলাসের মুখোমুখি হয় ইন্টার মায়ামি। আগের ম্যাচে মেসি-ডি পলরা গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছিলেন, সেদিন দলেরও জয় পাওয়া হয়নি। আজ তারা মাঠে নামতেই দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মায়ামি। তাদের ২-১ ব্যবধানের জয়ে একটি করে গোল করেন তেলাস্কো সেগোভিয়া ও মার্সেলো ভাইগান্ট।
অবশ্য মায়ামির জয়টা নিশ্চিত হয়েছে রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর আগমুহূর্তেই। স্টপেজ টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে মেসির অ্যাসিস্টে মার্সেলো ভাইগান্ট বল জালে জড়াতেই সমতা ভেঙে জয় নিশ্চিত হয় গোলাপি জার্সিধারীদের। যার সুবাদে লিগ কাপের প্রথম ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করে নিলো মায়ামি। তাদের হয়ে অভিষেকটা ভালোই হয়েছে ডি পলের, সার্জিও বুসকেটসের সঙ্গে তার রসায়ন যে দলকে মাঝমাঠের চাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত রাখবে সেই আভাস মিলেছে। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে স্কোর ছিল গোলশূন্য। সুয়ারেজের একটি শট পোস্টে এবং দুটি ভালো সেভ করেছেন অ্যাটলাস গোলরক্ষক।
ম্যাচের ডেডলক ভাঙে ৬০ মিনিটে। বুসকেটস ও মেসি হয়ে বক্সে বল পেয়ে যান সেগোভিয়া। যদিও আর্জেন্টাইন মহাতারকাই শট নিতে পারতেন। তবে সুযোগ পেয়ে এক স্পর্শে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি সেগোভিয়া। ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরে অ্যাটলাস। বক্সে বল পেয়ে মায়ামির দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ১-১ পরিণত করেন রিভালদো লোজানো।
নির্ধারিত ও ইনজুরি সময় শেষের পথেই ছিল, তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র হয়তো আক্ষেপ বাড়াতো স্বাগতিক ভক্তদের। ভাইগান্ট ওপরে উঠে বল চালাচালি করেন কয়েকজনের সঙ্গে, শেষে আবারও শেষ গোলের মতোই মেসি বক্সে ঢুকে বল বাড়ান। এর আগে তিনি ওয়ান-টু পাস দেওয়া-নেওয়া করেন সুয়ারেজের। শেষমেষ মায়ামি ডিফেন্ডার দ্রুতগতির শটে ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত করেন। যা নিয়ে উদযাপন করে ফেললেও মায়ামিকে ভিএআরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হয় কিছুক্ষণ।