বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান আবারও প্রথা ভেঙে চললেন ভিন্ন পথে। ব্লকবাস্টার হিট ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমাটি এবার মুক্তি পাচ্ছে ইউটিউবে। সরাসরি তার নিজের চ্যানেলে দেখা যাবে সিনেমাটি।
এক রাগী কোচ আর বিশেষভাবে সক্ষম কিছু শিশুর গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ২০ জুন। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ঝড় তোলে বক্স অফিসে। বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৬৫.৭১ কোটি রুপি। এত বড় সাফল্যের পরও আমির খান ওটিটিতে সিনেমাটি মুক্তি না দিয়ে এক নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছেন।
নেটফ্লিক্স যখন এই সিনেমার স্বত্ব কিনতে চেয়েছিল ১২৫ কোটি রুপিতে তখন অনেকেই ভেবেছিল আমির হয়তো রাজি হবেন। কিন্তু আমির স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমাটি তিনি ওটিটিতে নয় সরাসরি আনবেন ইউটিউবে। অনেকেই তখন তার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু এখন অনেকেই দাবি করছেন, তার সেই সিদ্ধান্ত ছিল সময়োপযোগী এবং সাহসী।
আমির খান নিজেই জানিয়েছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে তার ইউটিউব চ্যানেল ‘Aamir Khan Talkies’-এ দেখা যাবে সিতারে জমিন পার। তবে সিনেমাটি বিনা মূল্যে দেখা যাবে না। ভারতীয় দর্শককে ছবিটি দেখতে ১০০ রুপি দিতে হবে। বাংলাদেশিরা দেখতে পারবেন ১৫০ টাকায়। সাথে থাকবে বাংলা সাবটাইটেল এবং কোনো বিজ্ঞাপন থাকবে না।
আমির জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে তার প্রযোজনা সংস্থা আমির খান প্রোডাকশন থেকে নির্মিত প্রতিটি সিনেমা এই পথেই চলবে। অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ওটিটি নয় ইউটিউবেই সিনেমাগুলো দেখা যাবে।
এ প্রসঙ্গে আমির খান বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল যেসব জায়গায় সিনেমা হল নেই সেখানে কীভাবে দর্শকদের কাছে ছবি পৌঁছে দেব। ইউটিউব এখন প্রায় সবার ফোনেই থাকে। তাই এটাই সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।’
শুধু ‘সিতারে জমিন পার’ নয়, ইউটিউব চ্যানেলে একে একে মুক্তি পাবে আমির খানের আরও জনপ্রিয় কিছু সিনেমা। তারমধ্যে আছে ‘লগান’ (২০০১), ‘তারে জমিন পার’ (২০০৭), ‘পিপলি লাইভ’ (২০১০)। এছাড়া তার প্রয়াত বাবা তাহির হোসেন প্রযোজিত ‘কারাভান’ (১৯৭১), ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ (১৯৯৩) সিনেমা দুটিও এই চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হবে।