spot_img

যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার বোনের

অবশ্যই পরুন

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন প্রভাবশালী কিম ইয়ো জং যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ‘অপরিবর্তনীয়’ অবস্থান মেনে না নিলে কোনো আলোচনায় গঠনমূলক ফল আসবে না।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থান জনগণের সর্বসম্মত ইচ্ছায় শীর্ষ আইন দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অবস্থান অস্বীকারের যেকোনো চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় অবস্থান রক্ষায় ডিপিআরকে যেকোনো পথ গ্রহণে প্রস্তুত।’ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সংঘাত ‘কারও জন্যই লাভজনক নয়’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘নতুন চিন্তার ভিত্তিতে বিকল্প পথ খোঁজা’।

বিবৃতিতে কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ককে ‘খারাপ নয়’ বলে উল্লেখ করে কিম ইয়ো জং বলেন, ‘তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে নিরস্ত্রীকরণের কাজে ব্যবহার করা হলে, সেটি হবে একপ্রকার উপহাস।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি তারা পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে না নেয় এবং অতীতের ব্যর্থ পথেই চলতে থাকে, তাহলে ডিপিআরকে-মার্কিন আলোচনা কেবল আমেরিকার স্বপ্ন হয়েই থাকবে।’

এই বিবৃতি এমন এক সময়ে আসলো যখন দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ এক অজ্ঞাত হোয়াইট হাউস কর্মকর্তার বরাতে জানায়— ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহী এবং ‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ’ অর্জনে আলোচনায় প্রস্তুত।

এই বিবৃতির আগের দিন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগও প্রত্যাখ্যান করেন কিম ইয়ো জং। লি সম্প্রতি সীমান্তে প্রোপাগান্ডা সম্প্রচার বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের কোরিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক জেনি টাউন বলেন, ‘২০১৯ সালের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা অনেকটাই বদলে গেছে। তাই ‘নিরস্ত্রীকরণ’ আলোচনায় ফিরে যাওয়ার মতো বাস্তবতা আর নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিম ইয়ো জং ট্রাম্পের নাম না নিয়ে ভবিষ্যতের কূটনীতির সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন, কিন্তু আগের অবস্থান থেকে আলোচনার পুনরাবৃত্তিকে নাকচ করেছেন। যদি আলোচনা হয়ও, তা আর নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে হবে না, বরং ভিন্ন কাঠামোতে হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই পথে হাঁটবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’

সূত্র: আল জাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনের কারাগারে রাশিয়ার হামলা, যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের হুঙ্কার

ইউক্রেনের একটি কারাগারে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ