গাজায় চলমান সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে আলোচনার অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘যে কোনো দিন’ স্বাক্ষরিত হতে পারে। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মরদেহসহ অর্ধেক জিম্মির মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
রুবিও জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিন-রাত কাজ করে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি এনেছেন। রুবিও বলেন, আমরা আশাবাদী—আমরা এমন একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে যেখানে মরদেহসহ অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, আর ৬০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট জিম্মিরাও মুক্তি পাবে।
তিনি আরও জানান, সুসংবাদ হলো, এখন পর্যন্ত প্রতিটি মার্কিন নাগরিক জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আমরা সব জিম্মির মুক্তি নিয়েই সমানভাবে উদ্বিগ্ন।
গাজায় চলমান সহিংসতা প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, এর একটি সহজ সমাধান আছে—সব জিম্মিকে মুক্তি দিন, অস্ত্র নামিয়ে রাখুন, তাহলেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।
তবে এই আশাবাদী বার্তার পেছনে একটি দ্বৈত সুরও ছিল। কারণ এর আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় তাদের সক্রিয়তা কিছুটা কমিয়েছে, কারণ হামাস এখনও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সদিচ্ছা দেখায়নি।