রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এক যুগের বেশি সময় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে না ভারত–পাকিস্তান। তবে মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ঠিকই একে–অপরের সঙ্গে খেলে এই দুই দেশ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে অনেকটা ঘোষণা দিয়েই ভারত–পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রাখে।
গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) প্রকাশিত এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচিতেও চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটিকে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত লেগে গিয়েছিলো। তখন ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার, এমনকি দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকেও বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ তো নয়ই; তারা এসিসি ও আইসিসির টুর্নামেন্টেও পাকিস্তানের বিপক্ষে আর কখনো খেলবে না।
দুই দেশের শীতল সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে রাজি হয়েছে ভারত। ব্যাপারটা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি না হলে মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও এই দুই দেশের খেলা উচিত নয় বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএনআইকে ভারতের আলোচিত এই সাবেক অধিনায়ক জানান, ‘শুরু থেকেই আমার অবস্থান স্পষ্ট যে আপনি যদি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে না খেলেন, তাহলে অন্য টুর্নামেন্টেও খেলার প্রয়োজন নেই। এসিসি ও আইসিসি ইভেন্টে ভারতের পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা উচিত নয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যেহেতু সরকার ও বিসিসিআই নেয়, তাই এখানে কিছু বলার থাকে না।’
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে (ডব্লুসিএল) পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেছে ভারত। অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিছক বিনোদনের জন্য ও সাবেকদের মিলনমেলার মাধ্যম হিসেবে আয়োজন করা হলেও শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, কামরান আকমলদের সঙ্গে খেলতে রাজি হননি শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, সুরেশ রায়নারা।
আজহারউদ্দিন এসময় আরও বলেন, ‘দেখুন, সাবেকদের নিয়ে আয়োজিত লিগটি আনুষ্ঠানিক কোনো টুর্নামেন্ট নয়। সেখানে আইসিসি বা বিসিসিআইয়ের অনুমোদনের দরকার পড়ে না। এটি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয়। কিন্তু এশিয়া কাপ পরিচালনা করে এসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বোর্ডগুলোই সিদ্ধান্ত নেয়।’