টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক অনন্য ও অদ্ভুত রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তমবারের মতো ২০০ বা তার বেশি রান করেও হেরে গেল ক্যারিবীয়রা, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্য কোনো দলের নেই।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেই বিশাল রান পাহাড় পেরিয়ে যায় মিচেল মার্শের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া, ৩ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে কেউ সেঞ্চুরি না করলেও ছোট ছোট ঝড়ো ইনিংসেই সহজ হয়ে যায় জয়ের পথ। জশ ইংলিশ ৩০ বলে করেন ৫১, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে খেলেন বিধ্বংসী ৪৭ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিন ৩০ বলে ফিফটি করে দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে।
ম্যাচের শুরুর দিকে অধিনায়ক মার্শ শূন্য রানে ফিরে গেলেও ইংলিশ ও ম্যাক্সওয়েল পাওয়ার প্লেতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। বিশেষ করে ম্যাক্সওয়েলের ইনিংস ছিল চরম আক্রমণাত্মক ১৮ বলে ৬টি ছক্কা ও একটি চার ৪৭ রান করে ফেরেন ১০.১ ওভারে, তখন দলের সংগ্রহ ছিল ১২৯।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কৃতিত্বের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের অন্যতম কারণ ছিল বাজে ফিল্ডিং। ক্যারিবীয়রা ম্যাচে কমপক্ষে তিনটি সহজ ক্যাচ ফেলেছে, সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকটি ফিল্ডিং মিস, যা ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে রেকর্ড সেঞ্চুরি করা টিম ডেভিডকে এ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল, তবুও তার অভাব টের পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেকটি পরিসংখ্যানও চোখে পড়ার মতো, এই ম্যাচে তাদের কোনো ব্যাটারই ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি, তবুও দল তুলেছে ২০৫ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ফিফটি ছাড়াই দলীয় সর্বোচ্চ রানের দ্বিতীয় রেকর্ড। এর আগে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া, ফিফটি ছাড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ২০৫/৯ (রাদারফোর্ড ৩১, শেফার্ড ২৮, পাওয়েল ২৮, হোল্ডার ২৬; জাম্পা ৩/৫৪, হার্ডি ২/২৪, বার্টলেট ২/৩৯, অ্যাবট ২/৬১)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৯.২ ওভারে ২০৬/৭ (গ্রিন ৫৫*, ইংলিস ৫১, ম্যাক্সওয়েল ৪৭, হার্ডি ২৩; ব্লেডস ৩/২৯, হোল্ডার ১/৩৮, আকিল ১/৩৬, শেফার্ড ১/৫৯)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪–০ ব্যবধানে এগিয়ে।