সিরিয়ায় বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিরিয়ায় ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এটি দীর্ঘ ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ার পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিফলন। খবর রয়টার্সের।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আয়োজিত এক ফোরামে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এই বিনিয়োগ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সিরিয়ায় তার এই সফর সৌদি যুবরাজ ও কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই হয়েছে এবং এটি ‘ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার প্রতি সৌদি আরবের দৃঢ় ও সহানুভূতিশীল অবস্থানের প্রমাণ।’
এই বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো প্রকল্পে এবং ১ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।
এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে সৌদি টেলিকম কোম্পানি (এসটিসি) ও গো টেলিকম, ডিজিটাল সিকিউরিটি কোম্পানি এলম, সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান সাইফার এবং এড-টেক কোম্পানি ক্লাসেরা।
এছাড়াও সম্মেলনে সৌদি-সিরিয়ান বিজনেস কাউন্সিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি মূলত জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে তা বিলম্বিত হয়।
আল-শারার সরকার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং তারপর থেকেই রিয়াদ তার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে ওঠে। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি করাতেও কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছে।
গালফ ও তুরস্কের বহু কোম্পানি সিরিয়ার বিদ্যুৎ, রাস্তা, বন্দরসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সিরিয়া ইতোমধ্যে কাতারের সঙ্গে ৭ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ চুক্তি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বন্দর উন্নয়ন চুক্তি করেছে। এছাড়াও মার্কিন শক্তি কোম্পানিগুলো দেশটির জ্বালানি খাতের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে সৌদি আরব ও কাতার সিরিয়ার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বকেয়া ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দেয়, যার ফলে সিরিয়া নতুন করে ঋণ পাওয়ার সুযোগ পায়।