spot_img

বর্ষায় পায়ে আঙুলের ফাঁকে ঘা, সমাধান কী?

অবশ্যই পরুন

বর্ষাকাল মানেই বৃষ্টির আনাগোনা। মাটি ও বালির সোদা গন্ধ। বর্ষাকাল আমাদের প্রকৃতিকে যেমন সতেজ করে তেমনি কিছু অসুবিধাও বয়ে আনে। বৃষ্টির পানি জমে চলাচলে অসুবিধা হয়। ময়লা ও কাদাযুক্ত পানি পায়ে লেগে অনেক চর্মরোগ দেখা দেয়।

বর্ষার এই সময়ে অনেকেরই খোসপাঁচড়া ও ‘অ্যাথলিটস ফুট’ নামক রোগ হয়।। এগুলো ছত্রাকঘটিত একটি রোগ। যে কেউই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

অ্যাথলিটস ফুট টিনিয়া পেডিস নামের এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা সাধারণত পায়ের পাতার পাতলা চামড়ায়, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে দেখা দেয়। চামড়া লাল হয়ে যায়, চুলকানি হয়, ফাটল ধরতে পারে, কখনো কখনো পানিতে ভরা ছোট ছোট ফোসকাও দেখা যায়। রোগটিকে সংক্রামক হিসেবে ধরা হয়।

এক জনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়াতে পারে খুব সহজেই। বিশেষ করে রোগীর জুতা, তোয়ালে বা মোজা ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া বন্ধ থাকা জুতার মধ্যে যদি পা ঘেমে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভেজা থাকে, তাহলে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া বর্ষার সময় পায়ের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা একটু কঠিন হয়ে পড়ে, সেটাও একটা বড় কারণ।

অ্যাথলিটস ফুট কিভাবে চিনবেন

আঙুলের ফাঁকে চামড়া ফেটে যাওয়া বা ছড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুলকানি ও জ্বালা, পায়ে হঠাৎ করে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়া, পানিভরা ফোসকা (কখনো কখনো), চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া—এই সবই এই রোগের লক্ষণ।

কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

পা শুকনা রাখুন। ভিজে গেলে দ্রুত তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। আঙুলের ফাঁকে যেন পানি না জমে। দিনে দুই বার পা ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
সুতির মোজা ও বাতাস চলাচল করে এমন জুতা পরুন। সিনথেটিক কাপড়ের মোজা বা ঘাম জমে যায় এমন জুতো ছত্রাকের প্রজননের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মোজা ও তোয়ালে শেয়ার করবেন না। সংক্রমণ এড়াতে নিজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন: বাইরে বের হওয়ার আগে বা ঘাম হলে পায়ে ছত্রাকনাশক পাউডার লাগান। প্রয়োজনে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই যা করার করবেন।
বদ্ধ ঘরে বা কমন বাথরুমে সাবধান। কমন শাওয়ার ব্যবহার করার পর ভালো করে পা ধুয়ে মুছে নিতে হবে। প্রয়োজনে চটি পরেই প্রবেশ করুন।

কখন চিকিৎসা দরকার

প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণ অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার বা ক্রিমে আরাম মিললেও যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, চামড়া ফেটে রক্তপাত শুরু হয় বা ফোসকা ফুলে ওঠে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের ক্ষেত্রে ছত্রাকনাশক ওষুধ খেতেও হতে পারে।

সূত্র : আজকাল

সর্বশেষ সংবাদ

জাকেরের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ

মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ কক্ষপথে ফিরল জাকের আলী-শেখ মেহেদীর জুটিতে। বলে বলে রান তুলতে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ