রাশিয়াকে দেওয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে সোমবার (২১ জুলাই) যুক্তরাজ্য তাদের তথাকথিত ‘ছায়া নৌবহর’কে লক্ষ্য করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১৩৫টি তেলবাহী ট্যাংকার এবং দুটি রুশ কোম্পানি—শিপিং সংস্থা ইন্টারশিপিং সার্ভিসেস এলএলসি ও তেল ব্যবসায়ী লিটাস্কো মিডল ইস্ট ডিএমসিসি।
ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, এই ট্যাংকারগুলো রাশিয়ার জ্বালানি ও তেল খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহন করেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তথাকথিত ‘ছায়া নৌবহর’কে আরও ‘বিচ্ছিন্ন’ করে দেবে এবং রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলের মূল উৎস—তেলের রাজস্ব হ্রাস করবে।
সরকার জানিয়েছে, ইন্টারশিপিং সার্ভিসেস এলএলসি গ্যাবনের পতাকার আওতায় জাহাজ নথিভুক্ত করার দায়িত্বে রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা রুশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, বড় পরিসরে রাশিয়ার তেল পরিবহন অব্যাহত রাখার জন্য লিটাস্কো মিডল ইস্ট ডিএমসিসি কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
লন্ডনে অবস্থিত রুশ দূতাবাস এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে মস্কো এর আগে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, এসব পদক্ষেপ বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
এর আগে গত শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ১৮তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে সম্মত হয়েছে, যাতে রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি শিল্পে আরেক দফা আঘাত হানার পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য মিলে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দামের সীমা ব্যারলপ্রতি ৬০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৭ দশমিক ৬০ ডলারে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যাতে রাশিয়ার তেল রাজস্বে বিঘ্ন ঘটানো যায়।
সূত্র : রয়টার্স