আগামী দিনে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশের মালিক নয়, বরং জনগণের সেবক হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, জনগণের রক্ত ও ঘামে অর্জিত এই দেশে যারা দায়িত্বে থাকবে, তারা মালিক নয়, জনগণের সেবক হবে। জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই আদর্শেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজ যারা ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের ওপর জুলুম করে, টেন্ডার, চাঁদা, দুর্নীতির ভাগ নেয়, প্লট-ফ্ল্যাট ভাগ করে নেয়– তারা জনগণের নয়, নিজেদের সেবায় ব্যস্ত। আমরা যদি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিই, তবে কারো প্লট কিংবা বাড়ি করে দেব না, বরং পাবলিক রিপোর্ট দেব। কে কী কাজ করল, কত টাকা খরচ হলো জনগণকে জানাব।
রুদ্ধে একটি লড়াই শেষ হয়েছে। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটি লড়াই সামনে। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতেই হবে। জামায়াত এই লড়াইয়ে ছিল, আছে, থাকবে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।
জামায়াত আমির বলেন, যারা ২০০১, ২০১৩ কিংবা ২০১৮ সালে বুক দিয়ে প্রতিরোধ করেছে, তাদের বলছি– আপনাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নিখোঁজ হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সমাবেশের পথপরিক্রমায় আমরা তিনজন ভাইকে হারিয়েছি। তারা ইন্তেকাল করেছেন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তাদের জান্নাত দান করুন, তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।
এসময় জাতীয় ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যারা একাত্তরে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাদের অবদান ভুলে গেলে হবে না। আর যারা আজ অহংকার করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের ছোট করে তাদের বলি, এটা ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এখন সময় ঐক্যের, বিভেদের নয়।
জনগণের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, এই লড়াই শুধু জামায়াতের নয়, এই লড়াই সবার। নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাইলে, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি চাইলে আসুন আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাই।