ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭)
এ ক্ষেত্রে অন্যতম ফরজ ইবাদত ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি রাসুল (সা.) এর সুন্নত ও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণও জরুরি। পবিত্র কুরআনে খোদ মহান রব ঘোষণা দিয়েছেন, ‘হে নবী আপনি তাদের বলে দিন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩১)।
বিভিন্ন সময়ে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) যেমন উম্মতদের নানা বিষয়ে আদেশ-নিষেধের কথা জানিয়েছেন, তেমনি বাতলে দিয়েছেন মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের পথও। এরমধ্যে আছে গুনাহ মাফ হওয়ার আমলের কথাও।
সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে ছোট্ট একটি আমলের কথা এসেছে। যার মাধ্যমে এক হাজার গুনাহ মাফের পাশাপাশি এক হাজার নেকী (সওয়াব) অর্জিত হয়। সা’দ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) একদিন তার সঙ্গে উপবিষ্ট কিছু লোককে বললেন- তোমাদের কেউ কি এক হাজার নেকী অর্জনে অক্ষম? উপবিষ্টদের একজনে প্রশ্ন করলেন, কেমন করে আমাদের একজন এক হাজার নেকী অর্জন করতে পারবে? তিনি (নবীজি) বললেন, তোমরা একশবার তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ- سبحان الله) পাঠ করবে। এতে এক হাজার নেকী লেখা হবে এবং এক হাজার গুনাহ মুছে ফেলা হবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৬০৭)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কেউ যদি একশতবার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া-বিহামদিহী’ পাঠ করে, তবে তার সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ হলেও তা মাফ করে দেয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬৬)