spot_img

তেতো খাবার খেলেই কি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে?

অবশ্যই পরুন

বর্তমানে ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এই রোগের ফলে শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিডনি থেকে শুরু করে চোখ, নার্ভ ইত্যাদি খারাপ হতে পারে।

তাই এখনি সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনোরকম লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই রোগ বাড়ার পেছনে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন দায়ী। সেজন্য সবাই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের দিকে খেয়াল রাখতে শুরু করেছেন।

আর এটি করতে গিয়ে অনেকে কিছু ধারণা মনে পুষে রাখছেন। এর মধ্যে একটি হলো, তেতো খেলে কি সুগার কমে? এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, হ্যাঁ মেথি, করলা, উচ্ছে, নিম খেলে সুগার কমে। বিভিন্ন গবেষণায় এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে এর পেছনেও অনেক কারণ রয়েছে।
তবে সেই বিষয়ে জানার আগে সুগার নিয়ে কিছু কথা জানা দরকার। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
​সুগার

আমাদের শরীরে ইনসুলিন হরমোন রক্তে থাকা সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই ইনসুলিন প্যাংক্রিয়াস থেকে নির্গত হয়। ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনে তারতম্য ঘটলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রিত হয় না। আর এই অবস্থার নামই হলো ডায়াবেটিস।

এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়—টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস ছোট বয়সে হয়। অপরদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয় বড় বয়সে।

কতটা তেতো সুগার কমায়

অনেকে ভাবেন শুধু তেতো খেলেই বোধহয় সুগার অনেকটা কমে যাবে। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেতো খেলে সুগার কমে। কিন্তু শুধু তেতো জাতীয় খাবার খেয়েই সুগার কমাতে গেলে সেই খাবার অনেকটা পরিমাণে খেতে হবে। যেমন শুধু তেতো খেয়ে সুগার কমাতে গেলে দিনে এক কিলোগ্রাম করলা, উচ্ছে খেতে হবে। কিন্তু এটা বাস্তবে অসম্ভব।

​ওষুধও খেতে হবে

বিশেষজ্ঞরা জানান, তেতো খাওয়া খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে সুগার কমানোর পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এমনকি এর ফলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্যও। তাই তেতো খান। তবে শুধু তেতো খেয়ে সুগার কিন্তু সহজে কমবে না। সে ক্ষেত্রে ওষুধও খেতে হবে। এই দুইয়ের মিলনেই সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

কাঁচা নয়

অনেকে বেশি সুফল পাওয়ার জন্য কাঁচা করলা, উচ্ছে খেয়ে নেন। এই বিষয়টি নিয়ে কিন্তু সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, আমাদের পাচনতন্ত্রের কাঁচা সবজি হজমের ক্ষমতা কম। তাই এভাবে কাঁচা উচ্ছে, করলা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা সবজি থেকে অনেক সময়ই ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে।

​আর কী করবেন

পুষ্টিবিদরা বলেন, আমাদের ডায়েটে নজর দিতে হবে। ভাত, রুটির মতো সরল কার্ব নয়, বরং ওটস, ডালিয়া খাওয়া উপকারী। এ ছাড়া ফ্যাট বেশি রয়েছে এমন খাবারও এড়িয়ে যেতে হবে। তাই বাইরের খাবার নয়। এ ছাড়া মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এর বেশি হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু কম হওয়া যাবে না।

সূত্র : এই সময়

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন একটা ম্যারাথনের মতো। সময় যতই লাগুক এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ-চীন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ