ইসরায়েলি বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ হামলাকে “আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দামেস্ক জানায়, এই “বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি আগ্রাসন” সিরিয়ার অভ্যন্তরে সরকারি অবস্থানগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। ইসরায়েল এই হামলার মাধ্যমে “সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে” চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা শহরে দ্রুজ গোষ্ঠী এবং বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যেই হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের এই আক্রমণ “পরিকল্পিত ও কৌশলগতভাবে সময় নির্ধারিত”, যার উদ্দেশ্য হলো “জাতীয় স্থিতিশীলতা ধ্বংস করা এবং সিরিয়ার ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করা”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হামলার সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েলের ওপর বর্তায় এবং এর “সব ধরনের পরিণতির” জন্য তাকেই দায়ী করতে হবে। সিরিয়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন এ “অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের” জোরালো নিন্দা জানায়।
সিরিয়ার পক্ষ থেকে আবারও জানানো হয়েছে যে, তারা “আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় নিজেদের ভূখণ্ড ও জনগণকে রক্ষার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে” এবং প্রয়োজনে সব উপায়ে আত্মরক্ষা করবে।
এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের জন্য দেশটি বার্তা দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের একতরফা সামরিক আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা আরও নাজুক করে তুলছে।