spot_img

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি পিএসজি-চেলসি

অবশ্যই পরুন

প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বাজছে শেষের বাঁশি। ৬২ ম্যাচ শেষে ৩০টি দলের বিদায়ে এখন কেবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিধানের অপেক্ষায় দু’দল। বহুল প্রতীক্ষিত সেই ফাইনাল আজ।

রোববার (১৩ জুলাই) নিউ জার্সির সাড়ে ৮২ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই পরাশক্তি পিএসজি ও চেলসি।

গত মে মাসের শেষে মিউনিখে ইন্টার মিলানকে ফাইনালে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ পায় পিএসজি। সেই অনুভূতিকে পুঁজি করে যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এসে শিরোপার মঞ্চে প্যারিসের জায়ান্টরা। ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ফেবারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সেই সাথে অভাবনীয় এক অর্জনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফরাসি জায়ান্টরা। ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারলে ২০২৪-২৫ মৌসুমে সবগুলো শিরোপা ঘরে তোলার কৃতিত্ব অর্জন করবে পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ান ও ইউরোপিয়ান শিরোপার পাশাপাশি এখন বিশ্ব শিরোপার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তারা।

পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেন, শুরু থেকেই এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। এই ধরনের কৃতিত্ব অর্জন করা সবসময়ই কঠিন। খুব অল্প সংখ্যক দলই এই ধরনের কৃতিত্বের ভাগীদার হয় কিংবা অর্জনের চেষ্টা করে। আমরা মোটেই অতি আত্মবিশ্বাসী নই। এই টুর্নামেন্টে বেশীরভাগ ম্যাচেই আমরা ফেবারিট ছিলাম। বলতে গেলে পুরো মৌসুমেই আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালে কি হয় তা সময়ই বলে দিবে।

অপরদিকে, রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে ফাইনালে আসা পিএসজির তুলনায় যে কারো বিচারে পিছিয়ে থাকবে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। কারণ দু’বারের ফাইনালিস্ট চেলসির এই মৌসুমে উয়েফা কনফারেন্স লিগ শিরোপা ছাড়া তেমন কোন সাফল্য নেই। তবে ক্লাব বিশ্বকাপে দূর্দান্ত পারফরম্যান্সে শিরোপার ইন্যতম দাবিদার ইংলিশ ক্লাবটি। আন্ডারডগের তকমা থাকলেও শিরোপায় চুমু এঁকে মৌসুম শেষ করার অভিন্ন লক্ষ্য চেলসির। তার সতীর্থদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক রিস জেমস। ফেভারিট হলেও পিএসজির মুখোমুখি হতে বিন্দুমাত্র ভীত নয় ব্লুজরা।

চেলসি অধিনায়ক রিস জেমস বলেন, এই ম্যাচটি একটি উচ্চ-মানের খেলা হবে। এই মুহূর্তে তারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল, তবে এটি একটি ফাইনাল। এটি একটি ওয়ান-অফ ম্যাচ। সবাই তাদেরকেই শক্তিশালী ফেভারিট হিসেবে ধরছে, কিন্তু আমি এর আগেও অনেক ফাইনালে খেলেছি যেখানে আমরা ফেভারিট ছিলাম কিন্তু জিততে পারিনি। সবাই আমাদের প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরাই জিততে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ভিন্ন দু’দেশের ক্লাব হলেও একই মহাদেশীয় হওয়ার সুবাধে তাদের দেখা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দু’দলে দেখা হয়েছে মোট ১০বার। তিনটিতে জিতেছে পিএসজি, চেলসির জয় দুটিতে। ড্র হয়েছে বাকি পাঁচ ম্যাচ।

সর্বশেষ সংবাদ

ক্লাব বিশ্বকাপের মতো ঝামেলা ফুটবল বিশ্বকাপে হবে না: ফিফা প্রেসিডেন্ট

এক বছরও বাকি নেই ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে। তার আগে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ