spot_img

বেতন বাড়ছে বাবর-রিজওয়ানদের

অবশ্যই পরুন

মাঠে সাফল্যের ছিটেফোঁটা না থাকলেও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়রা সুখবর পেতে যাচ্ছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের বেতন ৩৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড অব গভর্নরস।

পিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বোর্ড অব গভর্নরসদের বৈঠকেনতুন অর্থবছরের জন্য ১৮.৩০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৪৯ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাড়ছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যাও। আগে ২৫জন খেলোয়াড় চুক্তির আওতায় থাকলেও, এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০জনে। ফলে শীর্ষ তারকাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন উদীয়মান তারকাও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাবে।

তবে এই বেতন বৃদ্ধি সবার জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে না। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আয় তো বাড়ছেই না উল্টো উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। সূত্রটি জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের আয় কমছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। বাজেট ৬৮৪ মিলিয়ন রুপি থেকে কমে ৪৫০ মিলিয়ন রুপিতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

পিসিবি তাদের ঘরোয়া মৌসুমে বড় পরিবর্তন এনেছে। প্রিমিয়ার ফার্স্ট-ক্লাস প্রতিযোগিতা কায়েদে আজম ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কমিয়ে আটটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি, গত বছর চালু হওয়া বহুল প্রচারিত চ্যাম্পিয়ন্স কাপও বাতিল করা হয়েছে।

নারীদের ক্রিকেটেও বাজেট বাড়িয়েছে পিসিবি। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৪জন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের সম্মিলিত রিটেইনার অর্থ ১২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ পাকিস্তানি রুপিতে। মেয়েদের ঘরোয়া চুক্তির বাজেট ও ৪ শতাংশ বাড়ছে, বর্তমানে যা ৩৭.২ মিলিয়ন রুপি।

ছেলেদের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাজেট এমন একটা সময় বাড়ানো হচ্ছে যখন মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা ব্যাপক সমালোচনায় জর্জরিত। সবশেষ আর্থিক মৌসুমে সব ফরম্যাটেই জাতীয় দলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও একই দশা হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তান ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার মুখে পড়েছে এ সময়েই। এছাড়া ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেও ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে।

গত ১২ মাসে পাকিস্তান সব মিলিয়ে তিন ফরম্যাটে ৪২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে মাত্র ১৭টিতে জয় পেয়েছে, হার ২৫টিতে। ৯ টেস্টের ৬টিতেই হার, ওয়ানডেতে ১৭ ম্যাচে ৯টি হার আর টি-টোয়েন্টিতে ১৬ ম্যাচে হেরেছে ১০টিতে।

সর্বশেষ সংবাদ

নিশাঙ্কা-মেন্ডিসের ব্যাটে বাংলাদেশকে হারাল শ্রীলঙ্কা

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ