ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউস বৈঠক শেষে চুপচাপ ফিরে গেছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা—যা এই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল—তা নিয়ে কোনো অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়নি।
বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহুর সূচিতে এটি যোগ করা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি চুক্তির সম্ভাবনা জোরালো মনে হচ্ছিলো।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আশা প্রকাশ করেছিলেন যে এই সপ্তাহেই একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে, ওভাল অফিসে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু ও ভায়েস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের এক ঘণ্টার বেশি বৈঠকের পর জানা গেছে যে উইটকফ তার দোহা ফ্লাইট পিছিয়েছেন, যেখানে ইসরায়েল-হামাসের আলোচনায় যোগ দিতে তিনি যাচ্ছিলেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আশার্ক-এর মতে, কাতারে পঞ্চম দফার আলোচনাও স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে ইসরায়েলি আলোচক দল শুধু শুনছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে না। তাদের প্রতিটি বিষয়ে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রধান আলোচক রন ডারমারের সাথে পরামর্শ করতে হয়।
ফিলিস্তিনি পক্ষের দাবি, ‘নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি হতে দিচ্ছেন না।’
ব্লেয়ার হাউসে দেয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি, যা আমাদের বীর সেনাদের সামরিক চাপের কারণেই সম্ভব হচ্ছে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘গাজায় আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার—সব জিম্মি (জীবিত ও মৃত) মুক্ত করা, হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজাকে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না করা।’
এছাড়াও তিনি ট্রাম্প ও ভ্যান্সের সাথে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল-মার্কিন অপারেশন নিয়েও আলোচনা করেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।