spot_img

বাংলাদেশের নেতৃত্বে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত

অবশ্যই পরুন

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হয়।

রেজ্যুলেশনটিতে জলবায়ু অর্থায়ন ও এর বাস্তবায়নের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। সেই সঙ্গে এতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য কার্যকরী পদক্ষেপও তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত রেজ্যুলেশনে উন্নয়নশীল বিশ্বের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল প্রাপ্তির সুযোগ সহজীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের নেতৃত্বে এই রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হওয়ার মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশন শেষ হয়। বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সমন্বয়ে গঠিত কোর গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশ এই নেগোসিয়েশনে নেতৃত্ব দেয়। পরে রেজ্যুলেশনটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

এদিন ‘মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন’ বিষয়ক রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হওয়ার আগে অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে তাদের জীবন, স্বাস্থ্য, আবাসস্থল, সামাজিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের গতিপথ হুমকির মুখে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জলবায়ু তহবিলের মধ্যকার বিদ্যমান বিরাট ব্যবধান এই রেজ্যুলেশনে প্রতিফলিত হয়েছে।

এই রেজ্যুলেশনের সবচেয়ে উল্লখযোগ্য দিক হলো- এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন, বর্ধিত, উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করার পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিতে উন্নত দেশগুলো তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ রেজ্যুলেশনে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি ও সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলায় উপযুক্ত প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার এই রেজ্যুলেশনের নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের অবদান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। যা জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার স্বীকৃতি। রেজ্যুলেশনে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং সব মানুষের জন্য মানবাধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ ও বাধাগুলো কার্যকরভাবে দূর করতে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬৩তম অধিবেশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে চালু হচ্ছে অনলাইন পোর্টাল

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বৈশ্বিক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ