spot_img

গাজা যুদ্ধ বন্ধে নৈশভোজে নেতানিয়াহুকে চাপ ট্রাম্পের

অবশ্যই পরুন

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দিতে সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর নেতানিয়াহুর এটি তৃতীয় দফা ওয়াশিংটন সফর। ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সমঝোতার পর ট্রাম্প এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

নেতানিয়াহু সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনার বর্তমান অবস্থা এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

নৈশভোজ শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি না, কোনো জটিলতা আছে। সব কিছু ভালোভাবেই এগোচ্ছে।’

নেতানিয়াহুর বিপরীতে লম্বা টেবিলে বসে থাকা ট্রাম্প জানান, গাজায় ২২ মাস ধরে চলা সংঘাত থামাতে হামাসও প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, ‘তারা (হামাস) আলোচনায় বসতে চায়, যুদ্ধবিরতি চায়।’

আলোচনার প্রস্তাবে যা রয়েছে-
বর্তমান আলোচনায় যে প্রস্তাব সামনে এসেছে, তাতে বলা হয়েছে:

গাজায় এখনও জীবিত থাকা প্রায় ২০ জন ইসরায়েলি বন্দির মধ্যে ১০ জনকে পাঁচ ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে।

সঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া হবে আরও ১৮ জন নিহত বন্দির মরদেহ।

এর বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গাজায় মানবিক সহায়তা বহুগুণে বাড়ানো হবে।

তবে কিভাবে এই সহায়তা বিতরণ হবে, তা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

যুদ্ধ শেষের দিকে অগ্রসর হবে কি?
মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই যুদ্ধবিরতির সময় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা শুরু হবে।

ইসরায়েল প্রস্তাবের মূল কাঠামোতে সম্মতি দিয়েছে। তবে হামাস কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো দ্বিধায় রয়েছে।

সবচেয়ে বড় বিতর্কিত বিষয় হলো—হামাস চায়, এই যুদ্ধবিরতি একটি স্থায়ী যুদ্ধ সমাপ্তির পথ তৈরি করুক। তারা চায় ৬০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সমাধান না হলে আলোচনা আরও বাড়ানো হোক।

অন্যদিকে, ইসরায়েল এমন কোনো শর্তে সম্মত নয়, যা ভবিষ্যতে তাদের সামরিক পদক্ষেপ সীমিত করতে পারে।

গাজার শাসন ও সাহায্য বিতরণ নিয়ে বিতর্ক
ইসরায়েল ও ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, হামাস যেন গাজার প্রশাসনে কোনো ভূমিকা না রাখতে পারে। তারা লেবাননের হিজবুল্লাহ মডেলের পুনরাবৃত্তি চায় না, যেখানে সরকার থাকলেও একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী কার্যত নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হামাস চায় বিতর্কিত Gaza Humanitarian Foundation (GHF) এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হোক এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পূর্ণভাবে সহায়তা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিষয়ে আপসের কিছু সুযোগ রয়েছে, তবে GHF পুরোপুরি বন্ধ।

সূত্র- এবিসি নিউজ

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯৯ রানে হারল বাংলাদেশ

দুইশ রানও করতে পারলো না বাংলাদেশ। ২৮৬ রানের লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগাররা অলআউট হয়েছে ১৮৬ রানে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ