spot_img

খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন

অবশ্যই পরুন

ইতিহাসের এক নির্মম পরিহাসে, ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন যাকে দুনিয়া থেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন, সেই আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনি কেবল বেঁচেছিলেনই না, বরং তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়, যেখানে সাদ্দামের পরিণতি ছিল ভয়াবহ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেদিন খামেনিকে হত্যা করতে পারলে হয়তো ইরানে ইসলামিক শাসন আসতো না এবং ভয়াবহ ইরান-ইরাক যুদ্ধও এড়ানো যেত। কিন্তু ইতিহাস বদলানোর সেই সুযোগ সাদ্দাম হাতছাড়া করেন।

১৯৭০-এর দশকে ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সাদ্দাম হোসেন ইরানের রাজা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে এক অবিশ্বাস্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন: নির্বাসিত ধর্মগুরু আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করা। খামেনি তখন ইরাকের নাজাফের এক কোণ থেকে পাহলভি শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ১৯৬৪ সাল থেকে নির্বাসিত খামেনির বিপ্লবী ভাষণগুলো ক্যাসেট টেপে রেকর্ড করে গোপনে ইরানে পাচার করা হতো। এই টেপগুলো দ্রুতই রাজনৈতিক বিস্ফোরকে পরিণত হয় এবং খামেনির প্রভাব বাড়তে থাকলে সাদ্দামের উদ্বেগও বাড়তে থাকে।

ইরানের নির্বাসিত গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক সদস্য ও খামেনির জীবনীকারদের মতে, সাদ্দাম হোসেন জাতিসংঘে এক গোপন বৈঠকের সময় শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সাদ্দাম আশঙ্কা করছিলেন যে, খামেনি ইরাকের শিয়া সংখ্যালঘুদের প্রভাবিত করে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু শাহ এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে জড়াতে রাজি হননি। তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, তারা ধর্মগুরুদের হত্যা করার কাজে জড়িত নন, যদিও তিনি ইরাকিদের খামেনিকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

অবশেষে ১৯৭৮ সালে ইরানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বৃদ্ধি এবং ইরানি চাপের মুখে সাদ্দাম খামেনিকে ইরাক থেকে বহিষ্কার করেন, এই আশায় যে এটি সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু ঘটেছিল ঠিক উল্টোটা। ফ্রান্সে নির্বাসিত হয়ে খামেনি অবাধ গণমাধ্যম অ্যাক্সেস পান এবং তার বার্তা সারা ইরানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র চার মাসের মধ্যেই শাহের পতন হয়, যা সাদ্দামের সেই ঐতিহাসিক ভুলের ফল হিসেবেই দেখা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ভিন্নমত নিয়েই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

কারো সাথে মতের অমিল থাকতেই পারে। কিন্তু ভিন্নমত নিয়ে থাকতে পারাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। মতের এই ভিন্নতাকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ