আজ ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। মুসলিম বিশ্বের জন্য দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি শোক, ত্যাগ, শিক্ষা ও আত্মসমর্পণের প্রতীক। হিজরি ৬১ সালের এই দিনে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারবর্গ ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
আজ রোববার (৬ জুলাই) বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে মিলাদ, দোয়া-মাহফিল এবং শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় তাজিয়া মিছিলসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শিয়া সম্প্রদায়।
আশুরার দিনে হযরত মুসা (আ.) ফেরাউনকে পরাজিত করে বনী ইসরাঈলকে মুক্ত করেছিলেন বলেও কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ আছে। তাই এই দিনটি মুসলিম ইতিহাসে বহুমাত্রিক তাৎপর্যে ভাস্বর।
সরকারি ছুটির এই দিনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। ঢাকায় তাজিয়া মিছিল ঘিরে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্য।
দিনটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।