সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট হয়ে গেছে সফরকারীরা। পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে কোনোমতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। ২৫ বল বাকি থাকতে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৪৮ রানে।
শনিবার (৫ জুলাই) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক মিরাজ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ হতেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেটের হারায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৩ রান। আসালাঙ্কার বলে থিকসানার হাতে ক্যাচ দিয়ে শান্ত আউট হলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে এগোতে থাকেন ইমন। তবে হাসারঙ্গার বলে ইমন বোল্ড আউট ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৭ রানের জুটি। ফেরার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৬৯ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান।
আজও ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১০ বলে মাত্র ৯ রান করেই ফিরে যান মিরাজ। আগের ম্যাচে তিনি আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাসের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২২ রান।
এরপর বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও সফরকারীদের বিপাকে পড়তে দেননি তারা দুজন। ৬১ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৪০ বলে ২৪ রান করা জাকের ফেরেন আসিথা ফার্নন্দোর বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে।
অন্য প্রান্তে থাকা হৃদয় দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন। ৬৮ বলে তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডানহাতি ব্যাটারের এটি তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি। তানজিম সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৫১ রানে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় হৃদয়কে।
এরপর হাসান মাহমুদ ও তানভীর ইসলাম আউট হন দ্রুতই। শেষ দিকে মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে একাই লড়াই করেন তানজিম হাসান সাকিব। সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২১ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তানজিম। ৪.১ ওভার বাকি থাকতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন মোস্তাফিজ। আর তাতেই ২৪৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিথা ফার্নান্দো নেন ৪ উইকেট। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার শিকার ৩ উইকেট, চামিরা ও আসালাঙ্কা নেন একটি করে উইকেট।