যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর ও ব্যয় বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এটা শীর্ষ নীতিগত অগ্রাধিকারগুলোকে আইনে পরিণত করার মাসব্যাপী প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি ট্রাম্পের।
বিস্তৃত বিলটি ডেমোক্র্যাট ও ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের মধ্যেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, কারণ এতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট এবং কর ও ব্যয়ের ফলে জাতীয় ঋণে বিপুল পরিমাণ সংযোজন ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প যেটিকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে অভিহিত করছেন, সেই বিলের প্রতি জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, কারণ এতে থাকা অনেক বিধান সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।
তবুও, শুক্রবার (৫ জুলাই) ট্রাম্প বিজয়ের উল্লাস করলেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি বি-২ স্পিরিট বোমার বিমানের ফ্লাইওভার দিয়ে, যেটি গত মাসে ইরানে মার্কিন হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের ব্যালকনি থেকে ট্রাম্প বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে জয়ের দিক থেকে এমন কিছু আগে কখনো হয়নি। জয়, জয়, জয়— সব দিকেই জয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই, আমি কখনো আমাদের দেশে মানুষকে এত খুশি দেখিনি, কারণ এত ধরনের মানুষ এখন সরকারের সহায়তা পাচ্ছে।’
তিনি আবারও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার বিজয়ের প্রসঙ্গ তোলেন এবং দাবি করেন, জনগণ তাকে তার নীতিগত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। তিনি রিপাবলিকান নেতাদের সাথে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন, তাদের মধ্যে ছিলেন স্পিকার মাইক জনসন ও প্রতিনিধি স্টিভ স্ক্যালিস।
ট্রাম্প বলেন, ‘নভেম্বরে আমেরিকান জনগণ আমাদের একটি ঐতিহাসিক ম্যান্ডেট দিয়েছে। এটি গণতন্ত্রের জন্মদিনে গণতন্ত্রেরই বিজয়।’
অন্যদিকে, বিরোধীরা আবারও বিলটির নিন্দা করেছেন। সিনেটে ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ নেতা চাক শুমার একে ‘মার্কিন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সূত্র: আলজাজিরা