spot_img

শরীরে ইসলামিক ট্যাটু করা কি জায়েজ

অবশ্যই পরুন

বিশ্বায়নের এই যুগে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করার প্রবণতা বাড়ছে। যার মধ্যে একটি হলো, শরীরে উল্কি আঁঁকা। যাকে আমরা ট্যাটু বলে চিনি।

মানুষের শরীরের চামড়ায় মোট সাতটি স্তর থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্তরের চামড়ায় সুই বা এজাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে তাতে বাহারি রং দিয়ে নকশা করাকে উল্কি বা ট্যাটু বলে। শরীরের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মুখ, কানসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ও গোপন স্থানেও ট্যাটু করতে দ্বিধা বোধ করে না অনেকে। ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা ও না জানার কারণে অনেক মুসলমানরাও এমন কাজ করছে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে শরীরের ট্যাটু অঙ্কনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বেশিরভাগ ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে শরীরে ট্যাটু আঁঁকা হারাম। তাঁরা বলেছেন, যেসব উপায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্ট অঙ্গে পরিবর্তন আনা হয়, তার সবই নিষিদ্ধ। আলাদা চুল লাগানো, ভ্রু প্লাক করা, চোখে আলাদা পালক লাগানো ইত্যাদি ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজকে এতটাই জঘন্য কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নবীজি (সা.) এ ধরনের কাজে লিপ্তদের অভিশাপ করতে বাধ্য হয়েছেন।

আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এমন সব নারীর ওপর অভিসম্পাত করেছেন, ‘যারা অঙ্গে উল্কি আঁঁকে ও অন্যকে দিয়ে উল্কি আঁঁকায় এবং সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুর চুল উপড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৮২)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যেসব নারী নকল চুল ব্যবহার করে, যারা অন্য নারীকে নকল চুল এনে দেয় এবং যেসব নারী উল্কি অঙ্কন করে ও যাদের জন্য করে, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৫৯)

হাদিস শরিফে নারীদের নির্দিষ্ট করে বলার কারণ হলো, আগেকার যুগে নারীরাই বেশি উল্কি অঙ্কন করাত। বর্তমান বিশ্বেও উল্কি অঙ্কনে নারীদের হার বেশি। সমীক্ষায় পাওয়া যায়, বিশ্বের ৫৮ শতাংশ নারীর শরীরে অন্তত একটি ট্যাটু বিদ্যমান, সে তুলনায় পুরুষের শতাংশ ৪১।

ইদানিং অনেককে দেখা যায়, শরীরে ইসলামিক ট্যাটু অঙ্কন করে, যেখানে মহান আল্লাহ ও নবীজি (সা.)-এর নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে, বা কোরআন-হাদিসের অংশ বিশেষ বা আরবি বা অন্য ভাষায় ইসলামের আলোকে মোটিভেশনাল উক্তি থাকে। কেউ কেউ আবার মক্কা-মদিনার ছবিকেও লাইন আর্ট স্টাইলে সাজিয়ে অনলাইনে ইসলামি ট্যাটু হিসেবে প্রচার করছে। ইসলামের দৃষ্টিতে শরীরে এ ধরনের ট্যাটু অঙ্কন আরও জঘন্য হারাম।

কেননা মানুষ সারা দিন অনেক অবস্থায় থাকতে হয়, সৌচাগারসহ এমন আরো বহু জায়গায় যেতে হয়, যেখানে এসব পবিত্র জিনিস নিয়ে যাওয়া নিষেধ। অথচ শরীরে ট্যাটু আকারে তা অঙ্কন করে ফেললে তা রেখে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার কেউ যদি ইসলামী রূপ দেওয়ার কারণে এগুলোকে হালাল মনে করে, তবে সে কোনো দিন তওবাও করার সুযোগ পাবে না। নাউজুবিল্লাহ।

মহান আল্লাহ এ ধরনের কাজ করা থেকে সবাইকে বিরত রাখুক এবং কেউ না বুঝে এসব কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে তাওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
নাউজুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।

সর্বশেষ সংবাদ

আফগান ক্রিকেটারকে বিয়ে করছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী!

গুঞ্জন উঠেছে আফগানিস্তান জাতীয় দলের পেসার আফতাব আলমকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলিউড ও টেলিভিশন জগতের আলোচিত অভিনেত্রী আরশি খান।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ