spot_img

‘আমাদের মূল সামরিক ক্ষমতা এখনো অক্ষত, সেগুলো যুদ্ধের ময়দানে নামেইনি’

অবশ্যই পরুন

ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইরান তাদের সামরিক শক্তির মাত্র পাঁচ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)-এর উপ-সমন্বয়ক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ-রেজা নাগদি।

গতকাল শনিবার (২৮ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতার পাঁচ শতাংশেরও কম অংশ এই যুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল। আর সক্রিয় হওয়ার মানে এই নয় যে আমরা তা ব্যয় করেছি, বরং তা বোঝায় যে প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর একটি ক্ষুদ্র অংশ কেবল শত্রুর মোকাবেলায় নিযুক্ত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল সামরিক ক্ষমতা এখনো অক্ষত রয়েছে। সেগুলো যুদ্ধের ময়দানে নামেইনি।’

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে সামরিক হামলা শুরু করলে, তেহরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। ইরান বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দেয় ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্পস্থাপনায়।

এই পাল্টা হামলার সময় এবং পরবর্তীকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ভিডিও, যেখানে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যায়।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাদের অত্যাধুনিক ‘থাড’ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ইরানের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। দুইটি থাড ইউনিট সক্রিয় করায় যুক্তরাষ্ট্রের খরচ পড়ে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাগদি বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শুধু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রধান শক্তি রয়েছে স্থল বাহিনীর মধ্যে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সজ্জিত এবং প্রস্তুত। চাইলে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এমন হামলা চালিয়ে যেতে পারি এবং একই গতিতে শত্রুকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানতে পারি।’

সূত্র: মেহের নিউজ

সর্বশেষ সংবাদ

এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা সরকারের

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে যে দুর্ভোগ তৈরি করেছে, তা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ