spot_img

হিজরি নববর্ষ উদযাপনে নানা আয়োজন

অবশ্যই পরুন

মুসলিম বিশ্বের আনন্দ ও উত্সবের দিন হিজরি নববর্ষ। হিজরি নববর্ষের প্রথম দিনে মুসলিমরা নানা ধরণের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজ করে থাকে। যার মধ্যে কিছু সাধারণ আয়োজন রয়েছে যা বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশেই করা হয়। আর কিছু আছে আঞ্চলিক।

সাধারণ কর্মসূচি
হিজরি নববর্ষে মুসলিম বিশ্বের সাধারণ কিছু কর্মসূচি হলো—
১. সাধারণ ছুটি : হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন আরব বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশের মুসলিমরা এই ছুটি ভোগ করে থাকে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সিরিয়া, ইরাক, মিসর, জর্ডান ইত্যাদি।
২. ধর্মীয় আলোচনা সভা : হিজরি নববর্ষ উপলক্ষ্যে মুসলিম দেশগুলোতে বিশেষ সেমিনার ও আলোচনা সভা করা হয়। এসব সভায় হিজরি বর্ষ ইতিহাস, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৩. রোজা পালন : আশুরা তথা মহররম মাসের ১০ তারিখ এবং তার আগে বা পরে একদিন মিলিয়ে রোজা রাখা হয়।
৪. সামাজিক উত্সব : মুসলিম বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে হিজরি নববর্ষে মুসলিম পরিবারগুলো পরস্পরকে আমন্ত্রণ জানায় এবং তারা আনন্দমুখর পরিবেশে সমবেত হয়। এসব পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপহারও বিনিময় হয়।
৫. সেবামূলক কাজ : নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়। যেমন দরিদ্র্য ও অসহায় মানুষের ভেতর খাবার বিতরণ করা, চিকিত্সা ক্যাম্প করা, মানুষের ভেতর ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ করা।

আঞ্চলিক সংস্কৃতি
নববর্ষের কয়েকটি আঞ্চলিক সাংস্কৃতি হলো—
১. ইন্দোনেশিয়া : হিজরি নববর্ষে ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা ‘নাগাংগুং’-এর আয়োজন করে। আর তা হলো পিতলের বড় পাত্রে ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে বের হওয়া এবং তা মানুষের ভেতর বিতরণ করা। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা হিজরি নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে।
২. ইরান : ইরানে হিজরি নববর্ষ আগমন করে শোকের বার্তা নিয়ে। ইরানের শিয়া মুসলিমরা মহররমের প্রথম দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত হুসাইন বিন আলী (রা.)-এর প্রতি নানাভাবে শোক প্রকাশ করে। ইরানিরা পার্সিয়ান নববর্ষ আনন্দে উদযাপন করে থাকে।
৩. সেনেগাল : হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন ছুটি কাটায় সেনেগালের মুসলিমরা। তারা এই দিন ঐতিহ্যবাহী খাবার কুসকুস প্রস্তুত করে। গম, সবজি, অলিভয়েল, গোশত, কিসমিস, বাদাম ও বিশেষ মশলা যোগে এই খাবার তৈরি করাহয়।
৪. হায়দারাবাদ : ভারতের হায়দারাবাদে হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন বিশেষ ধরনের শরবত প্রস্তুত করা হয়। যাকে স্থানীয়রা ‘দুধ কা শরবত বলা হয়’। দুধ, চিনি, বাদাম, রুহ আফজা ও বরফ কুচি দিয়ে এই শরবত তৈরি করা হয়।
৫. আরব উপদ্বীপ : আরব উপদ্বীপের দেশগুলোতে হিজরি নববর্ষ ইসলামী নববর্ষ বলা হয়। এই দিনে সাধারণত সরকারি ছুটি থাকে। পরিবারে ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে বের হয়। তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

তথ্যঋণ : আলজাজিরা, আরব নিউজ, গালফ নিউজ

সর্বশেষ সংবাদ

খামেনিকে হত্যার জন্য খুঁজেছে ইসরায়েল, কিন্তু পায়নি: প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্বীকারোক্তি

যুদ্ধ চলাকালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার জন্য বহুবার খুঁজেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। তবে, তাঁকে খুঁজে না...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ