spot_img

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বাধিক রোগী ভর্তি, ২৫ শতাংশই বরগুনায়

অবশ্যই পরুন

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৪ জন। এটি এ বছরের একদিনে সর্বোচ্চ রোগী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৫৭। আর এ বিভাগের জেলা বরগুনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৩। ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোট আক্রান্তের ২৫ শতাংশই হয়েছে দক্ষিণের এ জেলায়।

এবছর রাজধানীর তুলনায় বাইরের বিভাগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, বিশেষ করে বরগুনা জেলায়। বরগুনা পৌরসভার ৩১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা অনেক খারাপ। সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে প্রতি ১০ বাড়ির মধ্যে ৮টিতে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক দল ১৭ থেকে ১৯ জুন জরিপটি করে। এরপর রোববার প্রতিষ্ঠানটি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়।

সংক্রমণ বেশি হলে সে এলাকাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বরগুনা পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে সংক্রমণে হার ৮০, যা ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমার আট গুণ বেশি।

শুধু চলতি বছরই নয়, গত বছরও বরগুনায় ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে, বরগুনা ছিল দেশের চতুর্থ বৃহৎ ডেঙ্গু সংক্রমণের এলাকা। এ জেলায় গত বছর ২ হাজার ৪৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বরিশাল বিভাগে এটি ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৯৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। যার মধ্যে ঢাকায় ৩১০ জন, বাকি ৭৭০ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগ ছাড়াও চট্টগ্রামে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৫৮ জন, ঢাকায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৩৫ জন, খুলনায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৮ জন এবং রাজশাহীতে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৪৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪২ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন রোগী পাওয়া গেছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩৪ জন, যাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ৫৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত বছর ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,০১,২১৪ এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল ১,০০,০৪০ জন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কসোভো প্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা। আজ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ