যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে ইরানের আলোচনা। ঠিক সে সময়ে ইসরায়েলের চালানো সামরিক অভিযানের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলকে সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তখন বলেছিলেন, ইসরায়েলের পদক্ষেপ ছিল ‘একতরফা।’
তবে, এরপর ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। এমনকি জল্পনা ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে যোগ দিতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানকে একের পর এক সুযোগ দিয়েছি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
আজ বুধবার (১৮ জুন) এক ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এই হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন আমাদের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় নিয়োজিত ছিলেন। সে সময় ইরানের পক্ষ থেকে কোনো আগ্রাসী, সামরিক বা কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত ছিল না।’
‘ইসরায়েলের মার্কিন মিত্ররা যখন এতে হস্তক্ষেপ করছে। এবং এটিকে জায়নিস্ট শাসনের দুর্বলতা ও অক্ষমতার প্রমাণ বলে দাবি করেছেন।’
খামেনি আরও বলেন, ‘ইরানি জাতি ও সশস্ত্র বাহিনী যে শাস্তি দিয়েছে, দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করেছে, তা অত্যন্ত কঠোর এবং শত্রুকে দুর্বল করে দিয়েছে।’
তিনি ইরানি জনগণকে ‘বলীয়ান মনোবলে’ তাদের জীবন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
খবর: সিএনএনের।