বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (ডব্লিউটিসি) ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ ও ম্যাচ সংখ্যা বাড়াতে চার দিনের টেস্ট ম্যাচ অনুমোদনের পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৭-২৯ চক্রকে সামনে রেখে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে সংস্থাটি। দ্য গার্ডিয়ান
ডব্লিউটিসি ফাইনাল উপলক্ষে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ চার দিনের টেস্ট ম্যাচকে সমর্থন দেন। তার নেতৃত্বেই এই প্রস্তাব সামনে এসেছে। এতে করে তুলনামূলক কম শক্তিশালী দলগুলোর জন্য টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী দলগুলো যেমন- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত তাদের পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ চালিয়ে যেতে পারবে। এর মধ্যে অ্যাশেজ, বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি এবং সদ্য নামকরণ হওয়া অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির মতো ঐতিহ্যবাহী সিরিজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
চার দিনের টেস্ট নতুন নয়। ২০১৭ সালে এটি প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে চালু হয়। ইংল্যান্ড সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে এমন একটি ম্যাচ খেলে। এর আগে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেও তারা ২০১৯ ও ২০২৩ সালে চার দিনের ম্যাচ খেলেছে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, চার দিনের টেস্টে প্রতিদিন ন্যূনতম ৯৮ ওভার খেলার নিয়ম থাকবে, যেখানে পাঁচ দিনের ম্যাচে এটি ৯০ ওভার। এতে সময়ের ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে এবং তিন ম্যাচের একটি সিরিজ মাত্র তিন সপ্তাহেই শেষ করা যাবে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের স্বল্প টেস্ট সূচি এই পরিকল্পনার যৌক্তিকতা আরও বাড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পরও তাদের পরবর্তী টেস্ট ভারতের বিপক্ষে নভেম্বরে। এরপর দেশের মাটিতে তারা টেস্ট খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে।
এদিকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৫-২৭ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এই চক্রের ম্যাচগুলো ৫ দিনের করেই হবে। মোট ২৭টি টেস্ট সিরিজ হবে নয়টি দলের মধ্যে। যার মধ্যে ১৭টি হবে দুই ম্যাচের এবং ছয়টি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের।
আইসিসির মতে, চার দিনের টেস্ট চালু হলে ছোট দলগুলো আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবে। ফলে টেস্ট ক্রিকেট আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠবে।