পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সংস্কার করা মানেই হচ্ছে আমরা কাজ ও জনসেবাগুলো যেন সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। বাংলায় একটা কথা রয়েছে, স্থান, কাল-পাত্র-এটা বিবেচনা করেই সবকিছু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরের দিকে শাহজাদপুরের রেশমবাড়িতে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস এলাকা পরিদর্শনকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের দাবি যৌক্তিক, এতে কোনো দ্বিমত নেই। এরই মধ্যে এ ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেকে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দ নিয়ে হতাশার কিছুই নেই। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তাও ৫শ কোটি বরাদ্দ হয়েছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কিছুই পায়নি। সুতরাং আপনারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হতাশা প্রকাশ করবেন নাকি মাটির দিকে আশান্বিত হবে সেটি একা বড় চয়েস।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলেই কাব্যিক মনোভাব জেগে ওঠে মন্তব্য করে বলেন, চলনবিল ও বড়াল নদী সর্ম্পকে আমরা আগে থেকেই অবগত। এগুলোর পরিবেশ ঠিক রেখেই সবকিছু করতে হবে। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা তাঁতের শাড়ি উৎপাদন, যমুনা নদী, গো-চারণ ভূমি ও বিখ্যাত মিষ্টির জন্য পরিচিত। আগামীতে যাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে চিনতে পারে আমরা সে ব্যবস্থাই করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সচিব কাইয়ুম আরা বেগম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ইসলাম ও পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন।
এর আগে তিনি শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-৩ এ তিনি উপস্থিত হন তিনি। এরপর বৃষ্টির মধ্যে গার্ড অব
অনার নেন। পরে স্পিডযোগে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শন করেন।