বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুম সনদে সই করলেও এখনো রয়ে গেছে অনেক চ্যালেঞ্জ। এই সংকট উত্তরণের সহজ উপায় হচ্ছে গুমের শিকার হওয়া পরিবারগুলোর কথা শোনা।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে সকালে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনার পর চ্যানেল 24 এর কাছে এ মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান গ্রাজিনা বারানোস্কা।
গ্রাজিনা বারানোস্কা বলেন, বাংলাদেশ গুম বিষয়ক সনদ সইয়ের পরে আমরা এসেছি। সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করাই আসল বিষয়। সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এটি বাড়াতে হবে। এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি জানান, আইন উপদেষ্টা এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো বৈঠক হয়েছে।
ওয়ার্কিং গ্রুপের অন্য সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বলেন, এই সফরটি মূলত একাডেমিক কারনেই এসেছি। সফরে মূলত ভুক্তভোগী দের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেই এসেছি। যারা গুম হয়েছে তাদের বিচারের বিষযয়টিও আলোচনা করছি।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতিসংঘের বলপূর্বক গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (ডব্লিউজিইআইডি) ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাডিলো পেরেজ বাংলাদেশে তাদের চলমান গবেষণা সফরের সময় আজ সকালে মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জনাব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করেন।
ডব্লিউজিইআইডি প্রতিনিধিদল বলপূর্বক গুম সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে (আইসিপিপিইডি) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানান। তারা বলপূর্বক গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (সিওআই) কর্তৃক প্রদর্শিত কাজ এবং প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের গুম বিষয়ক কমিটির প্রতিনিধিরা বলপূর্বক অন্তর্ধান প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে কীভাবে গ্রুপের ম্যান্ডেট আরও সমর্থন করতে পারে তা বোঝার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মানবাধিকার সমুন্নত, সুরক্ষা এবং প্রচার এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অটল সংকল্পের উপর জোর দেন। তিনি এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রুপের সমর্থন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাকে স্বাগত জানান।