spot_img

ভারত বিমান রক্ষা করতে পারে না, অঞ্চলের নিরাপত্তা দেবে কীভাবে: বিলাওয়াল ভুট্টো

অবশ্যই পরুন

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে একটি ‘বিস্তৃত সংলাপের আয়োজন’ করতে ওয়াশিংটন এগিয়ে এলে তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও সহায়ক হবে।

আমেরিকার স্বাধীনতার ২৪৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির পক্ষে, ব্যবসাবান্ধব চুক্তির পক্ষে এবং উত্তেজনা সৃষ্টির বিপক্ষে।’ তিনি সম্প্রতি পহেলগামে সংঘটিত হামলাকে ‘মিথ্যা পতাকা অপারেশন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, সংঘর্ষের মধ্যে ট্রাম্পের ভূমিকা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৬–৭ মে তারিখে ভারতীয় আগ্রাসনে ৩৩ জন পাকিস্তানি নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া দেখায়। ‘আমরা সংযম দেখিয়েছি,’—বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, তিন দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে অবস্থানকালে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, ‘গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদি মার্কিন প্রশাসন চায়, তবে এই যুদ্ধবিরতি ধরে রাখতে এবং স্থায়ী শান্তির জন্য একটি পরিপূর্ণ সংলাপ আয়োজন সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ওয়াশিংটনের ভূ-রাজনীতির বাস্তবতা কী, কিন্তু আমাদের বার্তা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবের আলোকে সত্যের বার্তা।’

ভারত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে দেশ নিজের বিমান রক্ষা করতে পারে না, তারা কীভাবে অঞ্চলকে নিরাপত্তা দেবে?’ তিনি ভারতকে ‘নেট নিরাপত্তা প্রদানকারী’ হিসেবে তুলে ধরার কৌশলকে ব্যর্থ বলে আখ্যায়িত করেন এবং আমেরিকাকে এই নীতি পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ভারত যদি সংলাপ চায়, পাকিস্তান প্রস্তুত। তবে ভারতের ভেতরের রাজনৈতিক বক্তব্য, বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ‘ট্রেলার’ মন্তব্য, উত্তেজনা আরও উস্কে দিচ্ছে।

‘আমরা শান্তিপ্রিয়, উন্নয়নকামী দেশ। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বন্ধ হলে শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব,’— বলেন দার।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতিতে কোনো ভূমিকা ছিল বলে বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ফলে ইসলামাবাদের এই কূটনৈতিক আহ্বান কীভাবে গ্রহণ করা হবে, তা এখন আন্তর্জাতিক পর্যালোচনার বিষয়।

সূত্র- ডন

সর্বশেষ সংবাদ

আবার আসছেন রজনীকান্ত, পর্দায় ফিরছে ‘জেলার টু’

২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জেলার’ দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় এনে দেয় নতুন আলোড়ন। রজনীকান্তের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, তীব্র অ্যাকশন ও নাটকীয়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ