এবার ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা ইস্যুতে এসব দেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানায় হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয় এ তথ্য।
গতকাল বুধবার নিষেধাজ্ঞা এবং কড়াকড়ি সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেইসাথে এটি আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার। মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লিবিয়া, ইরান এবং ইয়েমেন। আর আফ্রিকার মধ্যে রয়েছে চাদ, নিরক্ষীয় গিনি, কঙ্গো, ইরিত্রিয়া, হাইতি, সোমালিয়া এবং সুদান।
তবে এর পাশাপাশি আরও ৭ দেশের নাগরিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশনা জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ দেশগুলো হলো, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা।
ট্রাম্প বলেন, ইউরোপে যা ঘটেছে আমরা তা আমেরিকার সাথে ঘটতে দেব না। আমরা এমন কোনও দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসনে আগ্রহী না, যেখানে নির্ভরযোগ্যভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুকদের যাচাইবাছাই করা সম্ভব হয় না। এ সময়, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের নিরাপত্তা এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
এর আগে, ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। দেশগুলোর মধ্যে ছিল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।
এর ফলে দেশগুলোর নাগরিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে উঠতে পারতো না। আর যদি কোনোভাবে উঠেও যেত, তাহলে দেশটিতে অবতরণের পর বিমানবন্দরেই আটক করা হত তাদের।