ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) উত্তেজনাপূর্ণ মেগা ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ ভারতের ফ্র্যাঞ্জাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টুর্নামেন্টটির ১৮তম আসরে এসে কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা পেলো কর্ণাটকের দলটি। তবে সেই জয়ের উৎসব যেন এক নিমিশেই বদলে গেল বিষাদে। নিজেদের জয়োৎসবে ট্রফি নিয়ে হোম স্টেডিয়াম চিন্নাস্বামীতে আসে আরসিবি স্কোয়াড। এসময়, স্টেডিয়ামের বাইরে হাজির দর্শকদের ভিড়ে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ১১ সমর্থক।
এই ঘটনায় আহত হন অন্তত আরও ২৫ জন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় বোরিং হাসপাতাল ও বৈদী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার জেরে ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে আরসিবি শিবিরের ওপেন-বাস প্যারেড কর্মসুচি। কোহলিরা স্টেডিয়ামে হাজির হন সাধারণ বাসে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, অত্যধিক ভিড় ছিল। জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমরা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার সময় পাইনি।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘আমরা ৫ হাজার পুলিশকর্মীর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু উৎসাহী ছেলেমেয়ের ওপর লাঠি চালানোর নির্দেশ দিতে পারিনি।
এদিন হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের বিমানবন্দরে এসে নামে টিম আরসিবি। সেখানে খেলোয়াড়দের স্বাগত জানাতে যান শিবকুমার। উচ্ছ্বসিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ কর্তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকও করেন।
ঘটনার জের পৌঁছেছে রাজনৈতিক মহলেও। রাজ্যের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, এই ট্র্যাজেডি অপরাধমূলক গাফিলতি। কংগ্রেস সরকার দু’হাতে রক্ত মেখেছে। শুধুমাত্র গাফিলতির কারণেই এতগুলি মানুষ জীবন দিয়েছেন। এটা কোনও দুর্ঘটনাই নয়, সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।