পশ্চিম সিরিয়ায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সিরীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। এতে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় এক মাস পর নতুন করে এ হামলা চালালো তেল আবিব।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
এএফপি জানায়, চলতি মাসের শুরুতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে পরোক্ষ আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেয় দামেস্ক। সে সময়ে সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে একটি ‘আগ্রাসন নিরোধ চুক্তি’ করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক এমন প্রেক্ষাপটে এ হামলা চালানো হল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে লাতাকিয়া প্রদেশের জাবলের নিকটবর্তী জামা গ্রামের আশপাশে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।’
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ‘জামা গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।’
লাতাকিয়া এলাকায় ইসরাইল ও আন্তর্জাতিক জলসীমার নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন একটি উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণের গুদামে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
তারা আরো জানায়, পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন উপাদানও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। বাহিনীটি বলেছে, ‘ইসরায়েল তার মিশন বাস্তবায়নের স্বার্থে এ অঞ্চলে স্বাধীনভাবে অভিযান চালিয়ে যাবে এবং রাষ্ট্র ও নাগরিকদের ওপর যেকোনো হুমকি প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে থাকবে।’
মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানায়, লাতাকিয়া ও তারতুসের উপকণ্ঠে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় হামলা পরিচালনাকারী জঙ্গি বিমানগুলো ইসরাইলের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৪৮ সাল থেকেই সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা চলছে। ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরাইল। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ পতনের পর আরো বহুবার হামলা ও অভিযান চালিয়েছে তেল আবিব।
তবে, ইসরায়েলের দাবি, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের হাতে উন্নত অস্ত্র পৌঁছাতে না দিতেই এসব হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কারণ, তাদের ধারণা, দামেস্কের বর্তমান সরকার জিহাদি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত।