সিরিজ বাঁচাতে পারলো না বাংলাদেশ
খেলা |
সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের এখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেই সমীকরণ জেনেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো আজ শুক্রবার (৩০ মে) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।
আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটি করে পরিবর্তন আনে দুটি দলই। বাংলাদেশের একাদশে শেখ মেহেদী হাসানের পরিবর্তে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পাকিস্তানে ফখর জামানের জায়গায় এসেছেন সাহিবজাদা ফারহান।
পাকিস্তানের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ফারহান। মোট ৪১ বল খেলে চারটি ৪ এবং ৬টি ছক্কা মারেন এক পাক ব্যাটার।
স্বাগতিকদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন হাসান নাওয়াজ। ২৬ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। বাংলাদেশের হাসান ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এক উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।
জবাবে নেমে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এর মধ্যে ১৩ বল (‘নো’ ডেলিভারিসহ) খেলে ২৯ রানই তানজিদ হাসানের। সালমান আগার করা প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার একটি ছয়। হাসান আলীর পরের ওভারে দুটি চার।
পাঁচটি চার ও একটি ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন তানজিদ হাসান। অন্যদিকে, হারিস রউফের বলে লং অনে হাসান আলীর ক্যাচ হয়েছেন ৭ বলে ৮ রান করা পারভেজ। এরপর এলেন ক্যাপ্টেন লিটন দাস।
ফাহিম আশরাফের বলে শর্ট লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তানজিদ। বাংলাদেশের ২ ওপেনার ফিরে গেলেন সাজঘরে।
এরপর আবরার আহমেদের বলে স্লগ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। হৃদয় আউট হওয়ার পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন জাকের আলীও। দেখা দিতে শুরু করে বাংলাদেশের চিরচেনা রূপ।
আবরার আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শামীম। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৯ ওভারে ৭০/৬। ব্যাটসম্যানদের আসা–যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন পিএসএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা রিশাদ হোসেন। ৪৪/০ থেকে ৭৭/৭–এর দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ৩৩ রানের মধ্যে নেই ৭ উইকেট।
এরপর খুশদিল শাহ’র ওভারের তৃতীয় বলে চার মারলেও শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অবশেষে, ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই আউট হয়ে গেলেন তানজিম হাসান। তার বিদায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৪৪ রান। তবে পাকিস্তান ম্যাচটি আগেই ম্যাচটি জিতে যায়। কারণ, বোলিংয়ের সময় চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া বাংলাদেশি পেসার শরীফুল ইসলাম ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। সবমিলিয়ে, ৫৭ রানে জিতল পাকিস্তান। অন্যদিকে, সিরিজ হার বাংলাদেশের।