মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রস্তাবিত ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসতে চাইলে কানাডাকে ৬১ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। তবে বিনামূল্যে পেতে হলে কানাডাকে হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য।
মঙ্গলবার ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি কানাডাকে বলেছি—যদি তারা আলাদা কিন্তু অসম রাষ্ট্র হিসেবে থেকে এই পরিষেবা পেতে চায়, তাহলে তাদের খরচ হবে ৬১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু যদি তারা আমাদের প্রিয় ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়, তাহলে খরচ হবে শূন্য ডলার।’ খবর বিজনেস ইনসাইডের।
ট্রাম্প কীভাবে এই ৬১ বিলিয়ন ডলারের হিসাব করেছেন, সে বিষয়ে তার প্রতিনিধি দল কোনো মন্তব্য করেনি। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০ মে ঘোষিত এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি মূলত মহাকাশে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর পরিকল্পনা।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে এবং এতে খরচ হবে প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। এই সিস্টেমের লক্ষ্য হবে—শত্রুর আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই তা শনাক্ত করে ধ্বংস করা।
তবে কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এই ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ৬ মে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন, কিছু জায়গা আছে যেগুলো কখনো বিক্রি হয় না। আমি নির্বাচনী প্রচারণার সময় কানাডার জনগণের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—কানাডা বিক্রির জন্য নয়, আর কখনো হবে না।’
উক্ত বৈঠকে ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, ‘বেশ কিছু জায়গা সত্যিই বিক্রির নয়।’ তবে তিনি একরকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘কখনো না বলো না।’
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশটিকে প্রথম লক্ষ্যবস্তু বানান। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা ২৫% শুল্ক আরোপ করে। এর পর থেকে বেশ কয়েকটি কানাডিয়ান প্রদেশ মার্কিন মদ্যপান দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করে দেয় এবং নতুন আমদানি বন্ধ রাখে।
১৭ মে কানাডার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে আরোপিত শুল্কের বেশিরভাগই এখনও বলবৎ রয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে কানাডা তার ইতিহাসের বৃহত্তম পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা ৬০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবহৃত পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ শুল্ক এখনো কার্যকর আছে।’