spot_img

ইশরাকের গেজেট স্থগিত চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন

অবশ্যই পরুন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি জানান, আমরা ‘লিভ টু আপিল’ করেছি। এটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। আদেশে বলা হয়, রিটকারীর এই বিষয়ে আইনগত কোনো অধিকার নেই এবং রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। বিকেলে সাত পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে, ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁরা নিজেদের ‘অফিসার অব দ্য কোর্ট’ হিসেবে দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন ও খান জিয়াউর রহমান।

বৃহস্পতিবার আদেশের পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন–এ মামলাটা এসেছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল থেকে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন (ট্রাইব্যুনালে মামলার বিবাদী হিসেবে), তিনি অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিলে যায়নি। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। গেজেট অনুসারে এখন শপথ হবে। শপথ না পড়ালে সেটা আদালত অবমাননা হবে।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে নোটিশের পর রাতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়। নোটিশের বিষয়ে ওই সময় আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

গাজার পথে ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা

গাজার উদ্দেশে আজ ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে যাত্রা করতে যাচ্ছে মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা। নৌযানটির সাথে পরিবেশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ,...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ