spot_img

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বার্তা

অবশ্যই পরুন

আগামী ২৯ মে আন্তর্জাতিক শান্তরক্ষী দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রোববার (২৫ মে) ঢাকার জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র থেকে এ বার্তা প্রদান করা হয়।

বার্তায় মহাসচিব বলেন, অদম্য সাহস নিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা পা রাখেন বিপজ্জনক এলাকায়—যেখানে মানুষ রক্ষা পেতে চায়, শান্তি টিকিয়ে রাখতে হয় এবং আশার আলো জ্বেলে দিতে হয় বিশ্বের কিছু কঠিনতম পরিস্থিতিতে। আমরা তাদের সেবাকে সম্মান জানাই। তাদের সহনশীলতা, নিষ্ঠা ও সাহস থেকে আমরা অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি।

বার্তায় আরও বলা হয়, আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সকল নারী ও পুরুষকে যারা শান্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এখন পর্যন্ত ৪,৪০০ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করেছেন—শুধু গত বছরেই ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা তাদের ভুলে যাব না—বরং তাদের অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য: ‘শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ’।

এতে বলা হয়, শান্তিরক্ষীরা ক্রমবর্ধমান জটিল বিশ্বে ক্রমবর্ধমান জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণ ও বিভাজন, সন্ত্রাসবাদের মতো বহুবিধ হুমকির কারণে অভিযান আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মারাত্মক ভুল তথ্যের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্যবস্তু করা, এবং সীমান্ত অতিক্রমকারী চ্যালেঞ্জগুলি – জলবায়ু সংকট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ পর্যন্ত।

মহাসচিব বলেন, আমরা যখন সামনের দিকে তাকাই, তখন শান্তিরক্ষীদের তাদের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস থাকা অপরিহার্য। এটি জাতিসংঘ এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির যৌথ দায়িত্ব।

বার্তায় আরও বলা হয়, গত বছর জাতিসংঘে গৃহীত ভবিষ্যতের চুক্তিতে আমাদের পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে শান্তিরক্ষাকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই চ্যালেঞ্জ একই সঙ্গে একটি সুযোগ: সফল শান্তিরক্ষা অভিযানের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করার, ব্যর্থতার কারণগুলো বোঝার, এবং ভবিষ্যতমুখী নতুন মডেল গড়ে তোলার, যা হবে রাজনৈতিক সমাধাননির্ভর, পর্যাপ্তভাবে অর্থায়িত, সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ও বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনাসম্পন্ন।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ—আমাদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পর্যালোচনা—ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আমরা একযোগে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

আজকের এই বিশ্বে জাতিসংঘের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আর জাতিসংঘের প্রয়োজন এমন শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

সর্বশেষ সংবাদ

বিগ ব্যাশের ড্রাফটে বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার

দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) আসন্ন মৌসুমের ড্রাফটে এবার ১১ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ