যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি ইহুদি জাদুঘরের কাছে গুলির ঘটনায় দুই ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মী নিহত হয়েছেন। ঘটনাটিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষমূলক সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়াখিয়েল লেইটার।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) রাতের এই হামলার ঘটনাটি ঘটে ওয়াশিংটনের কেপিটাল জিউইশ মিউজিয়ামের সামনে। নিহতেরা ছিলেন ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই তরুণ কর্মী। যাদের মধ্যে একজন তার প্রেমিকাকে পরবর্তী সপ্তাহে জেরুজালেমে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
ঘটনার পর ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, যা পরিষ্কারভাবে ইহুদিবিদ্বেষ থেকে প্ররোচিত। এখনই থামাতে হবে! যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণা ও চরমপন্থার কোনো জায়গা নেই।’
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লেখেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
রাষ্ট্রদূত জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ‘ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে তার প্রশাসন যা কিছু সম্ভব, তাই করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসাথে থাকব, ভয় পাবো না। একসাথে দাঁড়িয়ে যাবো এবং এ ধরনের নৈতিক অধঃপতনের বিরুদ্ধে জয়ী হবো।’
ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যাননও। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটনের জাদুঘরের সামনে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড একটি নিকৃষ্ট পর্যায়ের ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাস।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বিশ্বের যেখানেই হোক, ইসরায়েল তার নাগরিক ও প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
ওয়াশিংটন পুলিশ জানিয়েছে, হামলার তদন্ত চলছে এবং সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্টতা তদন্তের আওতায় রয়েছে। হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত চক্রান্ত রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।