রাতের খাবারের পর পেট ফোলা, অস্বস্তি বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয় মূলত আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া ও স্ট্রেস এগুলোর মূল কারণ। তবে পুরো জীবন পাল্টানোর দরকার নেই—শুধু কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই এ ব্যাপারে আরাম মিলতে পারে।
১. হালকা হাঁটা: রাতের খাবারের পর ১০ মিনিটের হালকা হাঁটা হজমে সহায়তা করে, গ্যাস ও অস্বস্তি কমায়।
২. গরম পানীয়: গরম পানি বা আদা, পুদিনা, চ্যামোমাইল বা মৌরি চায়ের মতো হালকা হারবাল চা হজমতন্ত্রকে শান্ত করে।
৩. মৌরি বা আজওয়াইন চিবানো: এই প্রাচীন অভ্যাসটি গ্যাস কমায় ও হজমে সাহায্য করে।
৫. পানি খাওয়ার সময়জ্ঞান: খাওয়ার ঠিক পরপর পানি না খেয়ে ধীরে ধীরে খান। এতে পাকস্থলীর অ্যাসিড পাতলা হয় না।
৬. মিষ্টি খেতে দেরি: খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ডেজার্ট না খেয়ে অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭. মানসিক চাপ কমান: খাবারের পর ফোন বা টিভির বদলে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যান করুন।
৮. নিয়মিত ডিনার টাইম: প্রতিদিন একই সময়ে রাতের খাবার খেলে হজম ও মলত্যাগের রুটিন ভালো থাকে।
৯. গাট ব্যাকটেরিয়ার যত্ন নিন: দই, কিমচি, কোম্বুচার মতো ফার্মেন্টেড খাবার মাঝে মাঝে খেতে পারেন, তবে পরিমিতভাবে।
১০. সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসক দেখান: যদি এসব অভ্যাসেও কাজ না হয়, তাহলে আইবিএস বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের মতো সমস্যা থাকতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সুতরাং, রাতের খাবারের পর ছোট কিছু পরিবর্তন—এক কাপ গরম চা, সোজা হয়ে বসা, কিছুক্ষণ হাঁটা বা মোবাইল বন্ধ করে শ্বাস নেওয়া—এই সহজ অভ্যাসগুলোই পারে আপনাকে আরাম দিতে।