সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না। বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে আগের বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) জমা দিতে হতো। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সীমিত ও মধ্যম আয়ের মানুষ।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র কেনায় পিএসআর দেখানোর বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হতে পারে কিংবা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সঞ্চয়পত্র কেনার সীমা পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হতে পারে। বাজেটে বক্তৃতায় এই ঘোষণা আসতে পারে। ফলে আগের মতো শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ জমা দিলেই চলবে।
আগামী ২ জুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণা নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করবেন । এজন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের জটিলতা বা ভোগান্তি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৪৫টি সরকারি-বেসরকারি সেবা পেতে গেলে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র (পিএসআর) দেখাতে হয়। রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয় এনবিআর। অনেক করদাতা শুধু পিএসআর দেখানোর বাধ্যবাধকতার কারণে শূন্য রিটার্ন জমা দেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১৬ লাখ করদাতা অনলাইনের রিটার্ন জমা দেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শূন্য রিটার্ন দিয়েছেন।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র ২০২৫: নতুন নির্ধারিত বার্ষিক হারে মাসিক মুনাফাপেনশনার সঞ্চয়পত্র ২০২৫: নতুন নির্ধারিত বার্ষিক হারে মাসিক মুনাফা
এদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে এক বছর ধরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। সঞ্চয়পত্র ভেঙে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট বা প্রকৃত ঋণ ঋণাত্মক হয়ে গেছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাড়ে ৮৩ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য সরকারের। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৩৬ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে প্রথম সাত মাসে ৪৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙা হয়েছে।